ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

এতিম শিশুদের জার্সি উপহার দিলেন সাদিও মানে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এতিম শিশুদের জার্সি উপহার দিলেন সাদিও মানে পুরনো ১৯ নাম্বার জার্সি গায়ে সাদিও মানে-ছবি: সংগৃহীত

এই গ্রীষ্মে নিজের জার্সি নাম্বার পাল্টে ফেলেছেন লিভারপুলের সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। আগের ১৯ নাম্বার জার্সির বদলে এখন তার গায়ে ১০ নাম্বার জার্সি শোভা পাচ্ছে। আর এই নতুন নম্বরের জার্সি তিনি কয়েক শ এতিম শিশুকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ে।

গত জুলাইয়ে নিজের জার্সি নাম্বার পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন মানে। তার ক্লাব লিভারপুলও এই সিদ্ধান্তে একমত হয়।

কিন্তু তার ভক্তরা ততদিনে তার আগের ১৯ নাম্বার জার্সি কিনে ফেলে। তবে কিছু জার্সি স্টকে রয়ে যাওয়ায় সেগুলো এখন শিশুদের নিয়ে কাজ করে কিটএইড নামক সংস্থায় দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাদিও মানে।  

কিটসএইডের সহযোগী ফ্রেন্ডস অব মুলাঞ্জে অরফানজ নামে এক সংস্থা, যারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন মানে। তাদের মাধ্যমেই নিজের প্রায় ১০০ জার্সি সম্প্রতি মালাউইয়ের মুলাঞ্জি জেলায় এতিমদের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন এই লিভাপুলর তারকা।

মানের দেওয়া জার্সি গায়ে ফুটবল খেলছে মুলাঞ্জির এতিম শিশুরাসাদিও মানের মতো বিখ্যাত তারকার কাছ থেকে জার্সি উপহার পেয়ে যারপরনাই খুশি মালাঞ্জির ওই এতিম শিশুরা। সেই জার্সি গায়ে তাদের ফুটবল খেলার কিছু ছবি ও ভিডিও টুইটারে প্রকাশ করে মানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফ্রেন্ডস অব মুলাঞ্জে অরফানজ’র প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি উডওর্থ।

চলতি বছরের এপ্রিলেও এইধরনের চ্যারিটির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছিলেন সাদিও মানে। সেবার লিভারপুল ফাউন্ডেশন ও লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সঙ্গে জড়িয়ে মালাউইয়ে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে যুক্ত হন তিনি।  

এছাড়া গত মে’তে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে নিজ গ্রাম তথা দক্ষিণ সেনেগালের বাম্বালি গ্রামে লিভারপুলের ৩০০ জার্সি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন মানে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।