বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বরুশিয়ার মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে স্বাগতিকদের বিপক্ষে রীতিমত খাবি খেয়েছে অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্স। বিশেষ করে ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বরুশিয়ার ইংলিশ তারকা জাদন সানচো।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দুই পরাশক্তির লড়াই মানেই আক্রমণাত্বক ফুটবলের প্রদর্শনী। দুই দলই রক্ষণের চেয়ে আক্রমণেই মনোযোগ দিয়েছিল বেশি। কিন্তু ফল হয়েছে দুই দলের জন্য দুই রকম। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টমাস ডেলানি পায়ের ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে ব্যাকফুটে চলে যায় ডর্টমুন্ড। তবে তার বদলি হিসেবে নামা মাহমুদ দাহোদ দলের প্রথম গোলে বড় ভূমিকা রেখে সেই অভাববোধ কমিয়ে দেন।
২০ বছর বয়সী মার্কিন মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ বল নিয়ে প্রতিপক্ষের অর্ধে দৌড়ে গিয়ে বল পাঠিয়ে দেন দাহোদের পায়ে। সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আরও খানিকটা গিয়ে হুইটসেলকে পাস দেন দাহোদ। সুবিধাজনক স্থানে থাকা হুইটসেল খুব সহজেই গোলের রাস্তা খুঁজে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া অ্যাতলেটিকো কোচ সিমিওনে টমাস পার্টেকে তুলে নিয়ে রদ্রিকে নামান। এরপরই বেশকিছু ভালো আক্রমণ শানায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। ৫৩ মিনিটে মিডফিল্ডার সাউল নিগুয়েজ বরুশিয়ার গোলরক্ষক রোমান বুর্কিকে প্রায় পরাস্ত করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন গুয়েরেইরো। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে তার গোলে ব্যবধান দিগুণ করে বরুশিয়া।
ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে তরুণ ইংলিশ ফুটবলার সানচোর পা থেকে। এবার ৮৩ মিনিটে হাকিমির অসাধারণ পাস থেকে বল পেয়ে ব্যবধান তিনগুণ করেন সানচো। এর মাঝে আরও একবার গোলের সুযোগ মিস করে অ্যাটলেটিকো। উইঙ্গার অ্যাঙ্গেল কোরেইরার কাছ ওই চেষ্টা প্রতিহত করে দেন বরুশিয়ার গোলরক্ষক বুর্কি।
ম্যাচের শেষদিকে (৮৯ মিনিটে) অ্যাতলেটিকোকে চূড়ান্ত হতাশায় ডুবিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন গুয়েরেইরো। অ্যালেটিকো ডিফেন্ডার ফেলিপে লুইসের পা থেকে বল ছুটে গেলে তা থেকে বল পেয়ে দ্রুত হালকা টোকায় বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’র শীর্ষে চলে এসেছে বরুশিয়া। তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে নক আউটের পথে এক পা দিয়েই রেখেছে জার্মান ক্লাবটি। অন্যদিকে তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাতলেটিকো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এমএইচএম