সোমবার (১১ মার্চ) সান্তোসের অফিসিয়াল টুইটারে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সান্তোস স্টেডিয়ামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
কৌতিনহোর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জানুয়ারিতে, নিউমোনিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসেও ভুগছিলেন।
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে যখন ১৭ বছর বয়সী তরুণ পেলে তার ফুটবল জাদু দিয়ে পুরো দুনিয়া মাত করে রেখেছিলেন, সেসময় সান্তোসে সবেমাত্র অভিষেক হয়েছে ১৪ বছর বয়সী কৌতিনহোর।
সান্তোসের হয়ে ৪৫৭ ম্যাচে ৩৭০ গোল করেছিলেন কৌতিনহো। অন্যদিকে পেলে ১,০৯১ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে সান্তোসের আক্রমণভাগ সামলেছেন ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত।
সান্তোসের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক কৌতিনহো। পেলে ছাড়া তার চেয়ে বেশি গোল করেছিলেন আরেক কিংবদন্তি পেপে। সান্তোসের হয়ে দু’বার কোপা লিবার্তাদোরেস, দু’টি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ও ছয়বার ক্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তার ট্রফি জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন কৌতিনহো।
ক্লাবের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ব্রাজিলের জার্সিতে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন কৌতিনহো। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ইনজুরির কারণে সাইডলাইনে বসে থাকতে হয় তাকে। মাঠে না নামলেও স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে তার নাম কিন্তু ঠিকই ছিল।
কৌতিনহোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে ফিফা, সান্তোস ক্লাব, সাবেক ব্রাজিলীয় অধিনায়ক কাফুসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস