নেইমারকে নিয়ে এই টানাটানি অনেকদিন থেকেই চলছে। তার আকাশছোঁয়া দামের কারণেই শুরুতে বার্সা তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি ছিল না।
রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহ অগ্রাহ্য করে কাতালান জায়ান্টদের ঘরেই ফিরতে চান নেইমার। কিন্তু তার বর্তমান ক্লাব কিছুদিন আগেই বার্সাকে ছেড়ে অন্য ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছে। সেই অন্য ক্লাবের তালিকায় রিয়াল ছাড়াও ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম। এটা আসলে বার্সার জন্য সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই হাল ছেড়ে দিয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারের সম্মিলিত চাপ সামাল দেওয়া কঠিন এক কাজ বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তমেউ’র জন্য।
এদিকে নেইমারকে বিদায় করতে চায় পিএসজিও। তাকে ছাড়া মৌসুমও শুরু করে দিয়েছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। কিন্তু তাকে বেচার জন্য যে দাম হাঁকানো হচ্ছে তা কারো কাছেই মনঃপুত হচ্ছে না। এজন্য শেষমেশ সেই বার্সার সঙ্গেই আলোচনায় বসেছে ক্লাবটির মালিকপক্ষ। কিন্তু আবারও অবাস্তব দাম হেঁকে পরিস্থিতি ফের ঘোলাটে করে ফেলেছে তারা।
কিছুদিন আগেই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফরাসি ফরোয়ার্ড গ্রিজম্যানকে কিনেছে বার্সেলোনা। এখন আবার নেইমারের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা আসলেই কঠিন তাদের জন্য। এর আগে নেইমারের বিনিময়ে স্যামুয়েল উমতিতি, ইভান রাকিতিচ, উসমানে দেম্বেলে এবং ফিলিপ্পে কৌতিনহোর মতো তারকাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে অফার করেছিল বার্সা। কিন্তু পিএসজি’র তাতে মন গলেনি।
এখন বার্সার হাতে একটাই উপায় আছে। আর তা হলো, ফিলিপ্পে কৌতিনহো। তার সঙ্গে ১২০ (কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম বলছে ৮০ মিলিয়ন) মিলিয়ন ইউরোও অফার করেছে বার্সা। এখন এর বেশি কিছু করা বার্সার জন্য প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া কৌতিনহোকে যদি পিএসজি নিতে রাজিও হয়, তবু দেম্বেলে, সুয়ারেজ কিংবা গ্রিজম্যানের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেঞ্চে বসেই কাটাতে হবে। মেসির জায়গা তো কেউ নিতে পারবে না। তার মানে দেম্বেলেকে বেচতেই হবে। কিন্তু কেউ কিনতে রাজিই তো হচ্ছে না। অথচ দুই বছর আগে ছেড়ে যাওয়া নেইমারকে তাদের লাগবেই। ভালো গ্যাঁড়াকলেই পড়েছে বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এমএইচএম