৩০ বছর ধরে শিরোপাহীন কাটছে লিভারপুলের। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটিজেনদের হারিয়ে এবার সেই ক্ষুধা ঘুচানোর সব আয়োজনই প্রায় সম্পন্ন করেছে ‘অল রেডস’রা।
ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই সিটির জালে বল জড়িয়ে দেন লিভারপুলের ফ্যাবিনহো। গোলপোস্টের ২৫ গজ দূরে থেকে নেওয়া তার শট ঠেকাতে পারেননি সিটি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্র্যাভো। তবে গোলের বাঁশি বাজানোর আগে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের বিপক্ষে হ্যান্ডবলের অভিযোগে ভিডিও রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেন রেফারি।
গোল হজম করলেও বল দখলে ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য ছিল দেখার মতো। কিন্তু আক্রমণে দুর্দান্ত ছিল লিভারপুল। এর স্বাক্ষর রেখে প্রথম গোলের ৬ মিনিট পরেই অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে হেড করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্বাগতিক দলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ।
সিটিও যে সুযোগ পায়নি তা নয়। রহিম স্টার্লিং হেডের সুযোগ নষ্ট করেন এবং সার্জিও আগুয়েরোর শট লিভারপুলের পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় পেপ গার্দিওলার দল। সিটির ব্যর্থতার মাঝেই উল্টো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন লিভারপুলের সাদিও মানে। দ্বিতীয়ার্ধের বিরতির ৬ মিনিট পর জর্ডান হেন্ডারসনের নিখুঁত পাসে বিভ্রান্ত ব্র্যাভোকে পরাস্ত করেন সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড।
শেষ বাঁশি বাজার ১২ মিনিট আগে এক গোল শোধ করেন বের্নান্দো সিলভা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। লিভারপুলের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে যাওয়ার পর সহজে মেনে নিতে পারছিলেন না সিটি কোচ গার্দিওলা। বিশেষ করে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের বিপক্ষে আরও একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ হওয়ার পর এই স্প্যানিশ কোচ রাগে রেফারিকে ‘ধন্যবাদ’ জানাতে থাকেন। তবে এটা যে কটাক্ষ তা বুঝতে পারলেও তিন পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা অ্যানফিল্ডের তাতে বয়েই গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএইচএম