ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল

রিয়ালকে জিততে দিল না পিএসজি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
রিয়ালকে জিততে দিল না পিএসজি খেলার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

করিম বেনজেমার জোড়া গোলের বদৌলতে ম্যাচের এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় এগিয়ে থেকেও ড্র মেনে নিতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। অন্যদিকে এমবাপ্পে ও সারাবিয়ার শেষদিকের গোলে স্বস্তি নিয়ে প্যারিসে ফিরছে পিএসজি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নেইমারকে বেঞ্চে বসিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত খুব একটা কাজে লাগেনি।

কারণ ম্যাচের শুরু থেকেই যেখানে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে রিয়াল, সেখানে কার্যকর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি এমবাপ্পে-ইকার্দিরা। বরং অসংখ্য আক্রমণের এক ফাঁকে করিম বেনজেমার দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

খেলার ১৭তম মিনিটে কারভাহালের সঙ্গে ওয়ান-টু পাস শেষে নিচু ক্রসে ইসকোর কাছে বল পাঠান ভালভার্দে। প্রথম প্রচেষ্টায় শট নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, কিন্তু বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ছিলেন বেনজেমা। কাজের কাজটি করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার।

দুই দলের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জেতার স্বাদ দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে পা রাখা পিএসজি প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল। এর মধ্যে ক্রুস, হ্যাজার্ড আর বেনজেমার একাধিক প্রচেষ্টা হয় পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দক্ষতায় বিফলে গেছে। কিছু সুযোগ নষ্ট হয়েছে দুর্ভাগ্যক্রমে।

তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে ভিএআর’র বদৌলতে অল্পের জন্য লাল কার্ড থেকে রক্ষা পান থিবাউ কুর্তোয়া। ডি-বক্সের ভেতরে পিএসজি ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দিকে ফেলে দিলে রিয়াল গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখান রেফারি। নিশ্চিত পেনাল্টির অপেক্ষায় ছিলেন পিএসজির খেলোয়াড়রা। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় ফাউল করেছিলেন পিএসজির ইদ্রিসা গুয়ে। ফলে সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।

প্রথমার্ধের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেইমারকে নামান টুখেল। পিএসজির আক্রমণে কিছুটা ধারও বাড়ে এতে। কিন্তু রিয়ালের আক্রমণের ধারও অব্যাহত থাকে। রিয়ালের মার্সেলো একাই তিন সুযোগ তৈরি করেন। ৪৬তম মিনিটে প্রথমে পিএসজির ডিফেন্স ভেদ করে পাঠান মার্সেলোর ক্রসে শট নেন বেনজেমা, যা নাভাস ফিরিয়ে দেন। এরপর ৬১ ও ৬২তম মিনিটে মার্সেলোর বানিয়ে দেওয়া বলে শট নিয়েও নাভাসের কাছে পরাস্ত হন ইসকো ও ভারানে।

ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে ম্যুনিয়েরের ট্যাকেলে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যাজার্ড। বদলি হিসেবে নামেন গ্যারেথ বেল। তবে এসব কিছুর মাঝেও রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি আসে বেনজেমার পা থেকেই। ৭৯তম মিনিটে মার্সেলোর ভাসিয়ে দেওয়া ক্রসে পোস্টের একদম কাছ থেকে নেওয়া বেনজেমার হেড ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না।

তবে দ্বিতীয় গোল হজমের মাত্র ২ মিনিট পরেই ভারানের ভুলে বল পেয়ে সহজ এক গোলে ব্যবধান কমিয়ে আনেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নাটকের তখনও বাকি। এর দুই মিনিট পর খেলায় সমতা ফেরান ইকার্দির বদলি হিসেবে নামা পাবলো সারাবিয়া। এই মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের হাফ-ভলির সুপার স্ট্রাইক সমর্থকদের চোখে লেগে থাকবে। খেলার বাকি সময়ে ম্যাচ জিততে মরিয়া রিয়ালের ভারানে ও রদ্রিগোর দুটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। আর যোগ করা সময়ে নাভাসকে পরাস্ত করেও অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি বেল।

এই জয়ে গ্রুপ 'এ'র শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে পরের পর্বে পা রাখলো পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালেরও পরের পর্ব নিশ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।