দীর্ঘদিন থেকে ফ্রান্স সাময়িকী ব্যালন ডি’অরের স্বপ্নের সেরা একাদশ নিয়ে কাজ করে আসছে। কয়েক ধাপে ও পজিশন নিয়ে একাদশ সাজানোর পর অবশেষে অনলাইন পোলের মাধ্যমে সেরা দল গঠন করা হলো।
৩-৪-৩ ফরম্যাশনের এই দল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হতেই পারে। কেননা যেখানে আলফ্রেদো দি স্তেফানো, ইয়োহান ক্রুইফ, মিশেল প্লতিনি ও জিনেদিন জিদানের মতো অসংখ্য তারকারা বাদ পড়েছেন।
এই দলে গোলরক্ষক হিসেবে জায়াগা করে নিয়েছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক রাশিয়ান কিংবদন্তি লেভ ইয়াশিন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৭৪টি ম্যাচ খেলা এই তারকা একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন।
তিন ডিফেন্ডার হিসেবে রক্ষণে রয়েছেন জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ব্রাজিলিয়ান ফুল-ব্যাক কাফু ও ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি।
বার্সেলোনা কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ সেরা ডিফেন্সভ মিডফিল্ডার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্প্যানিশ এই তারকা একটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। এছাড়া বার্সার হয়ে অসংখ্য ট্রফির সঙ্গে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাও জিতেছেন।
রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডে জাভির পাশে জায়গা করে নিয়েছেন জার্মানির লোথার মাথেয়াস।
এদের সামনে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে আছেন ফুটবল ইতিহাসের দুই মহাতারকা পেলে ও ম্যারাডোনা। কিংবদন্তি পেলে ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ জিতেছেন। আর সদ্যই পরলোক গমন করা ম্যারাডোনা প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতেন।
আক্রমণভাগে মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে থাকা তারকাটি ব্রাজিলের দ্য ফেনোমেনন রোনালদো নাজারিও। সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড হিসেবে জায়াগা পাওয়া রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।
বার্সেলোনা ও আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আক্রমণভাগে ডানদিকে জায়গা করে নিয়েছেন। রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ী, ৬টি গোল্ডেন বুট, চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা দ্বারা মেসি বার্সা ও লা লিগারই ইতিহাসে পরিবর্তন এনে দিয়েছেন।
বাঁদিকের আক্রমণের তারকাটি আর কেউ নন, তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসির সঙ্গে বরাবরই তুলনা করা পর্তুগিজ তারকা সবসময়ই নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পাঁচটি ব্যালন ডি’অর, পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এমএমএস