ইউক্রেনের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর প্রভাব পড়েছে ইউরোপের ফুটবলেও।
বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার কিছু আগে টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যেই হতাহতের খবর আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। আগামী ২৮ মে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে মর্যাদার এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হওয়ার কথা।
যুদ্ধাবস্থার মধ্যে সেন্ট পিটার্সবুর্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হবে কিনা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আগামীকাল শুক্রবার জরুরী বৈঠকে বসতে যাচ্ছে উয়েফা। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের চাওয়া, উয়েফা যেন সেন্ট পিটার্সবুর্গের গাজপ্রোম অ্যারেনা থেকে ফাইনালটি সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর খেলা চলছে এখন। সবগুলো দল এরই মধ্যে খেলে ফেলেছে প্রথম লেগও। এমন সময় দেখা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই পক্ষ মিলে অন্তত ১০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৯০ জনই সামরিক বাহিনীর সদস্য। এ অবস্থায় খেলা আয়োজনের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে ফিফাও। কারণ আগামী ২৪ মার্চ ঘরের মাঠে রাশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফের ম্যাচ খেলার কথা পোল্যান্ডের। আবার একই দিন ইউক্রেনকে আতিথ্য দেওয়ার কথা স্কটল্যান্ডের। তাছাড়া যুদ্ধ শুরুর কারণে ইউক্রেনের ঘরোয়া ফুটবল লিগও বন্ধ হয়ে গেছে। আশংকার ব্যাপার হচ্ছে, ইউক্রেন জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় তাদের দেশের লিগেই খেলেন।
রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা ছিল সুইডেনেরও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফের ওই ম্যাচ দুই দলের জন্য কাতারের যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ম্যাচটি খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন সুইডিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কার্ল-এরিক নিলসন। শুধু কি তাই, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'অলিম্পিকের চেতনা' নষ্ট করার অভিযোগ এনেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
এমএইচএম