অভিষেকের পর থেকেই ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। তাই প্রত্যাশার চাপটা সবসময়ই একটু বেশি থাকে।
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ নিয়ে এসেছে ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস তাদেরই একজন। গত মৌসুম থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের দারুণ ছন্দে আছেন এই ফরোয়ার্ড। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ব্রাজিলকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাই নেইমারের পাশাপাশি তিনিও জ্বলে উঠতে চান।
ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে নেইমার অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। এতো তরুণ বয়সে এই পরিমাণ চাপ নিয়ে খেলা সহজ কথা নয়। সে নিশ্চিত করে তরুণ প্রজন্মের জন্য সবকিছুই যেন সহজ হয়ে যায়। এটা স্বপ্নের মতো কারণ তাকে আদর্শ মেনেই আমরা বড় হয়েছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতা হিসেবে সে (নেইমার) কী করে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে জানে আমাদের সাহায্য করলেও, আমরাও তাকে প্রচুর সাহায্য করে বিশ্বকাপটা অসাধারণ করতে পারব। ’
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিণত হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলের নতুন জেনারেশনের পোস্টারবয় হলেও অভিজ্ঞদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনেন ২১ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড, ‘আমি প্রচুর শুনি। করিম বেনজেমা ও নেইমারদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শিখতে ভালো লাগে আমার। চাপ সামলানোটা সবসময় আমার কাছে সহজ লাগে। ’
লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড় ভিনি। তাই স্বভাবতই ম্যাচ জুড়ে তাকে নিয়ে ইনজুরির আতঙ্ক থাকে। লা লিগায় সবশেষে ম্যাচে এতটাই ভুগেছেন বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েই চিন্তা পড়ে গিয়েছিলেন। তবে মাঠের লড়াই মাঠেই শেষ করতে চান তিনি।
ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘নেইমার বার্সেলোনায় থাকতে অনেক কিছু শিখেছি আমি। সে প্রচুর ভুগেছে সেখানে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও রিয়ালের হয়ে খেলার সময় প্রচুর ভুগেছে। তবে করিম আমাকে শান্ত থাকতে বলেছে। কারণ যদি প্রতিপক্ষ তাড়া করে, তার মানে আমি গুরুত্বপূর্ণ। তারা আমার ভয়ে থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এএইচএস