বিরতিতে গিয়ে যেন ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্রই জপেছিল সৌদি আরব। এর ফল পেল মাঠে নেমেই।
৪৮ মিনিটে সৌদি আরবের হয়ে সমতা ফেরান সালেহ আল শেহরি। পাঁচ মিনিট পর ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে দর্শনীয় এক গোল করেন সালেম আল দাওয়াসারি।
এর আগে প্রথমার্ধে জুড়ে পুরোটাই ছিল আর্জেন্টিনার দাপট। খর্বশক্তির দল সৌদি আরব। তাদের বিপক্ষে আক্রমণের পসরা সাজাবে আর্জেন্টিনা, এমনটাই তো স্বাভাবিক। মাত্র ১০ মিনিটে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু এরপরই শুরু হতাশার গল্প। অফসাইডের কারণে তিনটি গোল বাতিল হওয়া বড় ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির দল।
পেনাল্টি নিয়ে সম্প্রতি অনেক দুর্নাম থাকলেও লিওনেল মেসি আজ কোনো ভুল করেননি। স্পট কিক থেকে ঠান্ডা মাথায় আলতো ছোঁয়ায় বাঁ প্রান্ত দিয়ে পরাস্ত করেন সৌদি আরব গোলরক্ষককে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে ৬ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের উদ্দেশ্যে শট নেন মেসি। কিন্তু ডি বক্সে তখন ফাউলের শিকার হন লিয়ান্দ্রো পারেদেস। তা রেফারীর চোখে না পড়লেও ভিএআর সেটি এড়িয়ে যায়নি। তাই ভিএআরের সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। কাতারের প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব শুরুতেই তাই বড়সর একটি ধাক্কা খায়।
২২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন মেসি। তাতে আর্জেন্টাইন ভক্তরাও উল্লাসে মেতে উঠেন। কিন্তু লাইন্সম্যান পতাকা উঠিয়ে জানিয়ে দেন অফসাইডে ছিলেন মেসি। তাই ব্যবধান আর বাড়েনি।
২৬ মিনিটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান লাউতারো মার্তিনেস। সতীর্থদের নিয়ে উদযাপনও করেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু রেফারী স্লাভকো ভিনসিচ ছিলেন ভিএআরের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। আর সেই সিদ্ধান্ত আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই আসে। কেননা বল পাওয়ার আগে অফসাইডে ছিলেন মার্তিনেস।
১০ মিনিট পর সেই মার্তিনেস একই ভুল করে বসেন আবার। যে কারণে ফের গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা।