বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হয়েছিল দুই গোল। এরপর ইরানের জালে তো ইংল্যান্ড গোল দিয়েছে ছয়টি, হজমও করেছে দুটি।
মঙ্গলবার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। গত ইউরোতে দারুণ পারফর্ম করা ডেনমার্ক দারুণ কিছু করতে পারবে বলে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপে আগের ১৫ ম্যাচের ১৪টিতে গোল করা তিউনিসিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি একবারও।
ম্যাচের শুরুতে বল দখলে প্রায় সমতা ছিল। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। একাদশ মিনিটে অবশ্য বিপদে পড়তে বসেছিল তারা। তিউনিসিয়ার মিডফিল্ডার মোহামেদ দ্রাগারের শট ডেনিশ ডিফেন্ডার আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেনের গায়ে লেগে অল্পের জন্য গোল হয়নি।
২৪তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডেনমার্কের জালে পাঠান ইসাম জেবালি। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি।
কেসপার স্মাইকেলের দৃঢ়তায় বিরতির ঠিক আগে বেঁচে যায় ডেনমার্ক। সতীর্থের পাস বক্সে পাওয়া জেবালির চিপ শট এগিয়ে এসে এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি।
ম্যাচের ৫১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ এসে যায় তিউনিসিয়ার কাছে। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে যান এইস্সা লাইদুনি। বক্সের সামনে গিয়ে তিনি অন্য পাশে সতীর্থকে পাস দিতে চেয়েছিলেন। সেবার তাদের বিদপমুক্ত করেন ডেনমার্কের এক ডিফেন্ডার।
৬৯তম মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের জোরাল শট এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন দাহমান। সেই কর্নারে খানিক আগে বদলি নামা আন্দ্রেয়াস কর্নিলিউসের হেড লাগে পোস্টে। শেষদিকে তিউনিসিয়া একটি পেনাল্টির আবেদন করলেও গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
বাংলাদেশ সময় ২১০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এমএইচবি