প্যালেস দ্য রিপাবলিক, প্যারিস: ফরাসিদের যেকোনো গণতান্ত্রিক লড়াই ও প্রতিবাদের প্রতীক স্ট্যাচু অব রিপাবলিক। প্রতিবাদ-সমাবেশ ও দাবি আদায়ের লড়াইয়ের স্থানও এই প্যালেস দ্য রিপাবলিক।
১৭৮৯ সালে রাজা লুইয়ের পতনের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতনের পর থেকে এই প্যালেস দ্য রিপাবলিকই ফরাসিদের আনন্দ-উৎসব, রাজনৈতিক সমাবেশ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং ও সামাজিক আন্দোলনের পিঠস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
এখানেই রয়েছে ফরাসি বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্নের স্মারক স্ট্যাচু অব রিপাবলিক।
১৩ নভেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পুরো প্যারিসবাসী এই চত্বরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জড়ো হন। স্ট্যাচু অব রিপাবলিক ঘিরেই তারা ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করেন। সব দেশের রাষ্ট্র প্রধানরাও এখানে নিহতদের স্মরণে ফুল দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ সবাই ছুটে আসেন এই প্যালেস দ্য রিপাবলিকে। তারাও নিহতদের স্মরণ করেন স্ট্যাচু অব রিপাবলিকে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে।
এখানেই গত ১২ জানুয়ারি শার্লি এবদো পত্রিকা অফিসে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্বের ৬০ জন রাষ্ট্রনেতা। সকল আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা আর প্রোটোকল ঝেড়ে ফেলে তারা অংশ নিয়েছিলেন শান্তি মিছিলে। সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ লাখ মানুষ।
১৩ নভেম্বরের হামলার স্থান বাতাক্লঁ সিটি হল এই প্যালেস দ্য রিপাবলিকেরই পাশে। আর তারই পাশের এলাকা ব্যাঙ্গো ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর অফিস। এবদো শব্দটির অর্থ হলো সাপ্তাহিক।
এখনো প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ হামলায় নিহতদের স্মরণে ছুটে আসছেন প্যালেস দ্য রিপাবলিকে। স্ট্যাচু অব রিপাবলিকে ফুল দিয়ে করছেন নিহতদের স্মরণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
আরএম/এমজেএফ/