ব্রাসেলস (বেলজিয়াম) থেকে: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিযে আমাদের দেশে কতো না তর্ক-বিতর্ক চলে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ঝুঁকি নিয়ে চলে কতো আলোচনা।
বেলজিয়াম পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশের সকল সড়কে আছে সড়ক দ্বীপ। মহা সড়কের এই বাতির যোগান দেয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ। দেশের শিল্প কারখানা ও বাসা-বাড়ির জ্বালানির যোগানও দেয় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। তবে কৃষি কাজসহ কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে কাজ করছে বায়ু চালিত ছোট ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ব্রাসেলস শহরের মাঝখানেই আছে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিমানবন্দরের পাশের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই আবার ন্যাটোর সদর দপ্তর।
বেলজিয়াম সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এমনভাবে সাজিয়ে রেখেছে, যে কারো কাছেই প্রথমে এটাকে কোন বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র বলে মনে হবে। এ দেশে এমন কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৬টি।
ব্রাসেলসকে বলা হয় ইউরোপের রাজধানী। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর এখানে। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও কমিশনের সদর দপ্তর, ইইউ ব্যাংক সবই ব্রাসেলেসে। আছে ন্যাটোসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থার মূল কার্যালয়ও।
এছাড়া ইউরোপিয়ানদের অন্যতম পর্যটন স্থল এই ব্রাসেলস ও এর পাশের ডায়মন্ড সিটি এনট্রপ। তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এদের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই চুল্লির ওপর দিয়েই প্রতিদিন উড়ে চলেছে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের বিমান।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরেই গড়ে উঠেছে এদের জীবনের সব কিছু। বেলজিকদের জীবন যেভাবে সারাক্ষণ রাঙিয়ে চলেছে কেন্দ্রগুলো, ওরাও তেমনি রাঙিয়েছে তাদের। কেননা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যে ব্রাসেলসেরই আলোর উৎস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
আরএম/জেডএম
** ব্রাসেলসে প্যারিস হামলার প্রভাব
** বাংলাদেশি সব পণ্যই মেলে বেলজিয়ামে
** প্যারিসে বাংলাদেশ
** আমাদের কথা কেউ বলে না!
** ট্যাক্সি চালক থেকে মেয়র প্রার্থী
** হাঁটা পথে ইউরোপে
** প্যালেস ডি সালভাদর দালি
** প্যারিসে মলিন আবহে বড়দিন
** গির্জাভিত্তিক পর্যটন
** এনভার্সে জাকিরের দেখা
** বাস্তিল ঘিরে পর্যটন
** প্যারিসের গণতন্ত্র ময়দান
** বাতাক্লঁয়ে প্রতিদিনই আসছে মানুষ