আখেন, জার্মানি: জার্মানির নর্দান ওয়েস্ট ফাল রাজ্যের আখেন সিটি বিখ্যাত হয়ে আছে প্রতিবেশী তিন রাষ্ট্রের সীমান্ত সম্মিলনের জন্য। এখানকার সীমান্ত পিলার ভাগ করেছে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও বেলজিয়ামকে।
এই সীমান্ত পিলারের তিন দিকে রয়েছে তিন দেশের তিন শহর। জার্মানির শহরের নাম আখেন, নেদারল্যান্ডসের শহরের নাম ফালস্ (ডাচ ভাষায় ভালস) ও বেলজিয়ামের কেলমিস (লা কালামিনে) অবশ্য ফরাসীরা একে বলেন লা স্যাপেল।
পিলারের স্থানটির নাম ইংরেজিতে বলা হয় ‘থ্রি ল্যান্ড পয়েন্ট’। অবশ্য জার্মান ভাষায় এটিকে বলে ‘ড্রাইল্যান্ডার অ্যাক’। প্রতি বছর এই সীমান্ত পিলার দেখতে লাখ লাখ পর্যটক ছুটে আসেন আখেনে। তবে তা অবশ্যই গ্রীষ্মকালে। এখন শীতকাল হওয়ায় পুরো ইউরোপ জুড়ে চলছে পর্যটক সংকট। তবে তীব্র শীত ও বৃষ্টির মধ্যেও আখেনে আসেন কেউ কেউ।
মূল সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে একটি বৃত্তকার চক্র। এই চক্রের তিন পাশে তিন দেশের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে স্টিলের পাত দিয়ে। পিলারের তিনপাশে আছে তিন দেশের অদ্যাক্ষর ডি, নেদারল্যান্ডের এনএল ও বেলজিয়ামের বি। এখানে দেখা যায় জার্মানির ভাগে আছে ৫০ ভাগ, বেলজিয়ামের ৩০ ভাগ এবং বেলজিয়ামের ২০ ভাগ।
থ্রি-ল্যান্ড পয়েন্ট থেকে তিন দেশের তিন শহর দেখার জন্য আছে ওয়াচ টাওয়ার। পর্যটকদের সেবা দিতে আছে কফি শপ।
পর্যটকদের পথ নির্দেশনার জন্য দেশগুলোর সম্পর্কে আছে নানা নির্দেশনা বোর্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই থ্রিল্যান্ড পয়েন্টকে জার্মানরা গুরুত্বপূর্ণ স্টাটেজিক পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করতো। এই ইতিহাস সবাইকে মনে করিয়ে দিতে আছে বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও ইতিহাস লিখিত বোর্ড।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এখানে নেই কোনো দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা পুলিশ সদস্য। নেই কাঁটাতারের বেড়া বা অন্য কিছু। তিন দেশের পর্যটকরাই এখানে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান সব সময়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
আরএম/আইএ/এসএইচ
** ইউরোপে বাংলাদেশ বিমানের জন্য হাহাকার
** কূটনীতিতে মন নেই ব্রাসেলস দূতাবাসের
** ব্রাসেলসে প্যারিস হামলার প্রভাব
** বাংলাদেশি সব পণ্যই মেলে বেলজিয়ামে
** প্যারিসে বাংলাদেশ
** আমাদের কথা কেউ বলে না!
** ট্যাক্সি চালক থেকে মেয়র প্রার্থী
** হাঁটা পথে ইউরোপে
** প্যালেস ডি সালভাদর দালি
** প্যারিসে মলিন আবহে বড়দিন
** গির্জাভিত্তিক পর্যটন
** এনভার্সে জাকিরের দেখা
** বাস্তিল ঘিরে পর্যটন
** প্যারিসের গণতন্ত্র ময়দান
** বাতাক্লঁয়ে প্রতিদিনই আসছে মানুষ