ঢাকা: আগামী মার্চ মাস থেকেই সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার’ চালু করতে চায় সরকার। এই ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’।
সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার’ চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটির খসড়া নীতিমালায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি ‘প্রাইভেট চেম্বার’ চালুর বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমানকে প্রধান করে আরও ২০ জন কমিটির সদস্য করা হয়। পরে আরও ছয়জনকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন।
জানা যায়, কমিটি এখন পর্যন্ত দুটি বৈঠক করেছে। ‘প্রাইভেট চেম্বার’ কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ নামের একটি খসড়া নীতিমালা ইতোমধ্যে তৈরি করেছে কমিটি। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কমিটির শেষ বৈঠক হবে। বৈঠকে নীতিমালা চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, অফিস সময়ের পর নিজ কর্মস্থলে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারের সময় হবে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। সেবা পেতে রোগীকে টিকিট কাটতে হবে।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের ফি হবে ৩০০ টাকা। কনিষ্ঠ চিকিৎসকের ফি ১৫০ টাকা। ফি থেকে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক পাবেন ২০০ টাকা। তার সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা। বাকি ৫০ টাকা সরকারি তহবিলে জমা পড়বে। ফি থেকে কনিষ্ঠ চিকিৎসক পাবেন ১০০ টাকা। তার সহায়তাকারী পাবেন ২৫ টাকা। বাকি ২৫ টাকা যাবে সরকারি তহবিলে।
খসড়া নীতিমালায় আরও বলা হয়, একজন অধ্যাপক সপ্তাহে দুই দিন, সহযোগী অধ্যাপক দুই দিন, সহকারী অধ্যাপক দুই দিন রোগী দেখবেন। চিকিৎসক যদি রোগীকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন, রোগী চাইলে তা সরকারি হাসপাতালে করতে পারবেন। আবার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে পারবেন।
কমিটির প্রধান সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আরেকটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মার্চের মধ্যেই সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালু সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে উপজেলা পর্যায়ের ৫০টি, জেলা পর্যায়ে ২০টি, বিভাগীয় ৮টি ও বিশেষায়িত ৫টি সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বার চালু হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বার চালুর পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ