ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চোখের চিকিৎসা-গবেষণায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
চোখের চিকিৎসা-গবেষণায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা: বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) সকালে জাপানে সফররত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান।

বুধবার (০১ মার্চ) জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাকোতো আইহারা'র আমন্ত্রণে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ইউনিভার্সিটি অব টোকিও'র পিএইচডি ফেলো ডা. তাজবীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিএসএমএমইউ‘র উপাচার্য বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক কিউএস র‌্যাংকিং-এ ২৩ নম্বরে অবস্থান করা টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে রেসিডেন্টদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বিএসএমএমইউ-এর শিক্ষকদের সঙ্গে জাপানিজ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনার কথা জানান।

এ সময় প্রফেসর আইহারা বাংলাদেশি চক্ষু চিকিৎসকদের ব্যাপক প্রশংসা করেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু আর্টিকেল সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। তিনি ক্লিনিক্যাল রিসার্চের পাশাপাশি মৌলিক গবেষণার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিএসএমএমইউকে চক্ষু গবেষণা, রেসিডেন্সি কারিকুলামের মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। শেষে উপাচার্য ও প্রফেসর আইহারাকে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিএসএমএমইউ উপাচার্য টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগার, সেল কালচার ল্যাব, জেনেটিক ও এনিম্যাল রিসার্চ সেন্টার, মেডিকেল ও জেনারেল লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, জিমনেসিয়াম, কো-অপ শপ, বিখ্যাত আকামন ও ইয়াসুদা অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নথি বদ্ধ করেন।  

প্রসঙ্গত, এ সময়ে বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ 'কালার ব্লাইন্ড টেস্ট'- এর উদ্ভাবক শিনোবু ইশিহারা বোর্ড পরিদর্শন করেন এবং জাপানিজ অপথালমোলজিকাল সোসাইটির বেশ কয়েকজন কার্যকরী সদস্যের সঙ্গে যৌথ বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান।

এছাড়াও চক্ষু রেসিডেন্সি কোর্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, রেসিডেন্সি কোর্সের ধারাবাহিক মানোন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশী মেধাবী রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের আরও দক্ষ ও আদর্শ গবেষক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব। আর এ লক্ষ্যে বিএসএমএমইউ'র বর্তমান প্রশাসন ও শিক্ষকরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।