ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন নতুন রোগী।

জেলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।  

শনিবার (৮ জুলাই) পর্যন্ত শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তিনজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তরা বেশির ভাগই ঢাকায় ছিলেন। এদিকে এডিস মশার আতঙ্কে পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার পাশাপাশি খানাখন্দ ও ডোবায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুন ও চলতি জুলাই মাসে হাসপাতালে ২৬ জন ভেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে ২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে যায়। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে ২ জন এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদাভাবে মশারির ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকও রোগীকে পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত  রোগীরা বলেন, হঠাৎ করে জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত মিয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনাতে আসি। আসার পর আমার জ্বর অনুভব হয়। এর মধ্যে আমার বাবা ও ভাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। আমি ২ জুলাই শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে চিকিৎসক টেস্ট করতে বললে আমার ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। তবে বর্তমানে আমি সুস্থ রয়েছি।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। বর্তমানে একজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা আক্রান্ত রোগীদের শতভাগ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বর্তমানে আক্রান্তদের বেশির ভাগ রোগীই ঢাকায় বসবাস করছিলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন এবং জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজেন রাতে ঘুমের সময় কয়েল কিংবা মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীর মূল লক্ষণগুলো হলো- তীব্র জ্বর, মাথা শরীর এবং হাড়ে ব্যথা থাকবে। এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।