ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফরিদপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ৭২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ফরিদপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ৭২

ফরিদপুর: সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫০ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৭২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এডিস মশার লার্ভা নিধনে ফরিদপুর পৌরসভা থেকে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পৌরসভার কাউন্সিলরদের জনগণকে সচেতন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাইকিং ও লিফলেট প্রচারের মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশ্যে কয়েকদিন ধরে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রচারণা করা হচ্ছে। এছাড়া মশা নিধনে ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু মশাবাহিত ও ভাইরাসজনিত রোগ। সারাদেশেই এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এতে অবশ্যই সচেতনতার বিকল্প নেই। বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি অপসারণ, মশারি টানিয়ে ঘুমানোসহ বিভিন্ন দিকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৩০৭ জন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বাংলানিউজকে বলেন, এডিস মশার লার্ভা নিধনে ফরিদপুর পৌরসভা থেকে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করতে পৌরসভার কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) হাসপাতালে ৪০ জন নতুন রোগী এসেছেন। এখন সর্বমোট ৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আপাতত জেনারেল ওয়ার্ডগুলোয় রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে তাদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার ব্যবস্থা করা হবে।  

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজনে রাতে ঘুমানোর সময় কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া জেলায় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ৪৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫০ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।