ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
রাজশাহীতে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী

রাজশাহী: রাজধানীর মতো রাজশাহীতেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। ছড়াচ্ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী। আগে কেবল ঢাকা থেকে আসা ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। কিন্তু এখন রাজশাহীতেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এতে যতই দিন যাচ্ছে হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর চাপ ততই বাড়ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টার ডেঙ্গু প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫২ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন নতুন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আগে ভর্তি ছিলেন ৫০ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন।

বর্তমানে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৫২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহীতেই। আর বেশিরভাগ রোগীই রাজধানীতে ভ্রমণের হিস্ট্রি রয়েছে। এছাড়া বগুড়া, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডেঙ্গুরোগীও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ফলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হলেও ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে হিমশিম খাচ্ছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ১৮ থেকে বেড সংখ্যা ৫২তে উন্নীত করা হয়েছে।  

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের একটি বিশেষায়িত টিম এখন কাজ করছে। মজুদ রাখা হয়েছে ওষুধপত্রও। তবে এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হবে।

রামেক হাসপাতাল পরিচালক আরও বলেন, চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৮২ জন ডেঙ্গুরোগীকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন রোগী। আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২৯ জন রোগী। এর মধ্যে ৩১ জনই রাজশাহীর স্থানীয়। আর বাকিরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সচেতন না হলে সামনে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় বেগ পেতে হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্তমানে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই যেন ডেঙ্গুর প্রকোপ বিস্তারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। যদিও দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে রাজশাহীর পরিস্থিতি অনেকটায় ভালো। এরপরও তাদের কার্যক্রম জোরেশোরেই চলছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিষয়ে ক্যাম্পেইন ও সচেতনতামূলক নানান কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।