ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কমিশনে বিএনএনআরসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কমিশনে বিএনএনআরসি

ঢাকা: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সিভিল সোসাইটি কমিশনে অংশগ্রহণের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিএনএনআরসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিভিল সোসাইটি কমিশনের স্টিয়ারিং কমিটি বিশ্ব স্বাস্থ্যের বর্তমান অগ্রগতিকে আরও বেগবান করতে নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ভূমিকা শক্তিশালী করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিভিল সোসাইটি কমিশনে অংশগ্রহণকারী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনকে (বিএনএনআরসি) অনুমোদন দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিভিল সোসাইটি কমিশনের লক্ষ্য হলো, আলোচনা জোরদার করা, সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে নাগরিক সমাজের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে সমর্থন করার জন্য সুপারিশ করা। পাশাপাশি সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য অর্জনে কাজ করা। সেই সাথে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এসডিজি অর্জনকে ত্বরান্বিত করা।

এই কমিশনের আরও লক্ষ্য হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নাগরিক সমাজের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা। তাছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই কমিশন আরও সুন্দর ও সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পদ্ধতিগতভাবে পরিচালনা করার জন্য সহযোগিতা করা।

এ পর্যন্ত ৩৫০টিরও বেশি সংস্থা কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত গৃহীত ১২০টি সংস্থাকে অবহিত করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এই কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে, নাগরিক সমাজের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও বিশ্বসাস্থ্য সংস্থার সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে আরও ভালো এবং অর্থপূর্ণ উপায়গুলি অন্বেষণ করা এবং সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বের করাও জন্যও এই কমিশন কাজ করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, আমরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, আমরা যে সেবা সবাইকে দিচ্ছি সেই সব মানুষদের কথাগুলো শোনা দরকার এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাড়া দেওয়াও দরকার। সেই সাথে তাদের মুখোমুখি হয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলিকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য অপরিহার্যভাবে তাদের পরামর্শ নেয়াও প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।