ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৮৫ শতাংশ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
৮৫ শতাংশ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করেছে ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছে বলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল আমারিতে মানুষের ফাউন্ডেশন আয়োজিত করোনাকালীন সময়ে মাল্টি স্টেকহোল্ডার রিসার্চ ফাইন্ডিং ডিসমিনেশন সভা থেকে এ কথা জানানো হয়।

 

অনুষ্ঠান থেকে বলা হয়, ৮৫ শতাংশ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করেছে, ১০ শতাংশ মানুষ ব্যক্তি উদোগে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং বাকি পাঁচ শতাংশ মানুষ গণটিকাকালীন সময়ে অন স্পট রেজিস্ট্রেশন করেছে।

ফলাফলে দেখা যায়, উত্তরদাতাদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ৩৬ শতাংশ মহামারী চলাকালীন ব্যক্তিগতভাবে বা তাদের পরিবারের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য সেবা পেয়েছেন।

দুই শতাংশ টেলিমেডিসিন সেবা ব্যবহার করেছেন। স্বাস্থ্য বাতায়ন টেলিফোনে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার জন্য ২০২০ সালে প্রায় ১১ মিলিয়ন এবং ২০২১ সালে তিন মিলিয়নের বেশি কল করেছে।

এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি টেলিভিশনে চ্যানেলের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ, বিটিভির মাধ্যমে ৩৪ শতাংশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে ২৭ দশমিক তিন শতাংশ, মাইকিং থেকে ২৪ দশমিক সাত শতাংশ, মোবাইল ফোনের অপারেটরের এসএমএসের মাধ্যমে ১২ শতাংশ, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির মাধ্যমে ১১ দশমিক তিন শতাংশ, উপজেলা ফেসবুক পেজ থেকে এক শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ লোক করোনা মহামারী সম্পর্কে সরকারি তথ্য জানতে পেরেছে।

ফলাফলে আরও দেখা যায়, পরিবার এবং কমিউনিটির সদস্যদের কাছ থেকে ৪৮ শতাংশ, টেলিভিশনের মাধ্যমে ৩৯ শতাংশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ১০ শতাংশ এবং মাইকিং থেকে এক শতাংশ, পত্রপত্রিকা থেকে এক শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে এক শতাংশ লোক প্রথম করোনা মহামারি সম্পর্কে জানতে পারে।

মোট দুই হাজার ৪০০ মানুষের মধ্যে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী সদস্য ছিলেন। ৩৩টি জেলার শহর ও গ্রামে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন সাংবাদিক জয় ই মামুন। আলোচনা করেন সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড ১) শেখ মো. মনিরুজ্জামান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড ১) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, সিপিডি সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।