ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আইসিডিডিআরবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অগ্রগামী উদ্ভাবনের ৬৩ বছর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
আইসিডিডিআরবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অগ্রগামী উদ্ভাবনের ৬৩ বছর ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অগ্রগামী যাত্রায় ৬৩ বছর পূর্ণ করল আইসিডিডিআর,বি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটির দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়।

 

কলেরার প্রকোপ রোধে ১৯৬০ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন সাউথ এশিয়ান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিয়াটো) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) সহায়তায় কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (সিআরএল) হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় আইসিডিডিআর,বি।  

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে আইসিডিডিআর,বি আইন-২০২২ এর প্রথম বর্ষপূর্তিও উদযাপিত হয়। গত বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইসিডিডিআর,বি আইন-২০২২ পাশ হয়। এই আইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিডিডিআর,বির ভূমিকার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়েছে।  

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য গবেষণায় আইসিডিডিআরবি,র গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধরেন। খাওয়ার স্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির (ওআরএস) মতো যুগান্তকারী উদ্ভাবনে আইসিডিডিআর,বির ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।

ড. তাহমদি বলেন, শিশুদের ডায়রিয়াজনিত রোগের মৃত্যুহার কমাতে আইসিডিডিআর,বি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ধনুষ্টংকার টিকার গবেষণাতেও আইসিডিডিআর,বির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।

তিনি তার বক্তব্যে মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাকসিন তৈরি, গুরুতর অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য গাইডলাইন প্রস্তুত এবং বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে আইসিসিডিআর,বির নেতৃত্বশীল ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।

সেমিনারে ‘বাংলাদেশে দারিদ্র্য প্রবণতা এবং নিয়ামকসমূহ: সাম্প্রতিক প্রমাণ থেকে অন্তর্দৃষ্টি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।  

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন সংঘাত দেশের দারিদ্র স্তরে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তবে এরআগে গত এক দশকে দারিদ্র্য কমাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।

ড. সেন দারিদ্রের প্রধান চালকসমূহ তুলে ধরেন এবং এর থেকে উত্তরণে বেশ কিছু নীতিগত প্রস্তাব তুলে ধরেন। স্মার্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই প্রবৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থায় বিবেচনায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী সেসব নীতি বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।  

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বির মহাখালী ক্যাম্পাসে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।  

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় আইসিডিডিআর,বি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মিসেস ন্যান্সি চেং বলেন, আমি মনে করি, কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি চিত্তবিনোদনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা যে ব্যাপক পরিসরে কাজ করি তা থেকে তার ফল অর্জনের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সবার মঙ্গল কামনা করি।

অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর,বি কর্মীদের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তি, উন্নয়ন সহযোগী, সংবাদকর্মী ও আইসিডিডিআর,বির শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।