ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ক্যাডাভেরিক কিডনি গ্রহীতা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
ক্যাডাভেরিক কিডনি গ্রহীতা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ক্যাডাভেরিক অঙ্গ (কিডনি) গ্রহীতা ৪৬ বছর বয়সী ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা তাহমিনা ইয়াসমিন পপি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য ও জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার কার্যালয়ে তাহমিনা ইয়াসমিন পপির হাতে ছাড়পত্র তুলে দেন।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের একটি আন্দোলন হওয়া উচিত। এটি করা গেলে অনেক মৃত্যু পথযাত্রী মানুষকে সহজেই বাঁচানো যাবে। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দুটি সফলতা দেখিয়েছে। এজন্য আমি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যে মহৎ মানুষ প্রয়াত কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা মো. মাসুম আলম ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং তার পরিবারের প্রতি। যাদের ত্যাগের ফলে আজ তাহমিনা ইয়াসমিন পপি নতুন করে জীবন পেলেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সময় তাহমিনা ইয়াসমিন পপির সিরাম ক্রিটিনিন ছিল ৯। এখন ০.৯ নেমে এসেছে। তার মানে এই রোগী পুরোপুরি সুস্থ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেলের আহ্বায়ক রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল, সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেলের সদস্য সচিব ক্যাডাভেরিক কাউন্সিলর আইসিইউ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ পিটু, উপ রেজিস্ট্রার সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

গত ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে ঢাকার কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুম আলমের ‘ব্রেইন ডেথ’ হয়। অভিভাবকরা তার অঙ্গদানের সম্মতি দেন। ওদিন মো. মাসুমের একটি কিডনি গ্রহণ করেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী মোসাম্মৎ তাহমিনা ইয়াসীন। আরেকটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় ৪৪ বছর বয়সী জাকির হোসেন নামের আরেকজনের শরীরে।

দেশে প্রথমবারের মতো অঙ্গদান করেন সারাহ ইসলাম নামে ২০ বয়সী এক তরুণী। তাকে গত বছরের দিনগত রাতে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেথ’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সারাহর শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারাহর চোখের কর্নিয়াও দেওয়া হয় অপর দুজনকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।