ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দাঁতের শিরশিরে ব্যথা দূর করুন ৬ ঘরোয়া উপায়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
দাঁতের শিরশিরে ব্যথা দূর করুন ৬ ঘরোয়া উপায়ে

দাঁত শিরশির করা কিংবা ব্যথা- যেকোনো মানুষের কাছেই খুব সাধারণ সমস্যা। ঠাণ্ডা, গরম বা টক খাবার খেলেই দাঁতে ব্যথা, শিহরণ বা অস্বস্তির কারণ।

দাঁতে এনামেল নামের একটি উপাদান থাকে। সেটি ক্ষয়ে গেলেই দাঁত শিরশির করতে শুরু করে। কারণ দাঁতের স্নায়ুগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে শির শির অনুভব স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। যে কারণেই ঠাণ্ডা বা গরম খাবার খেলেই দাঁতে ব্যথা অনুভব হয়। বৈজ্ঞানিক ভাষায় যাকে বলে টুথ সেনসিটিভিটি।

দাঁতের শিরশিরানি অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। এনামেল ও দাঁতের রুটের নানা সমস্যার কারণে এই উপদ্রব শুরু হয়। ঠাণ্ডা, টক জাতীয় খাবার খেলে এসবের খাবারের প্রভাব নালির মাধ্যমে ওই দাঁতের স্নায়ুতে চলে যায় ও ব্যথা অনুভব হয়।

দাঁতের সংবেদনশীলতার চিকিৎসার করা দরকার তাই ব্যথা হলেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়া আরাম পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যায়। আসুন জেনে নিই দাঁতে শিরশিরানির লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা-

* দাঁতের সংবেদনশীলতার লক্ষণ সংবেদনশীল দাঁতের লোকেরা নির্দিষ্ট সময় কিংবা খাবার থেকে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। ঠাণ্ডা বা গরম খাবার-পানীয়, ঠাণ্ডা হাওয়া, মিষ্টি খাবার-পানীয়, অ্যাসিডিক খাবার-পানীয়, দাঁত ব্রাশ করার সময় বা ফ্লস করার সময় অ্যালকোহল ভিত্তিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতের গোড়ায় ব্যথা অনুভব হতে পারে।

যখন এনামেল (প্রতিরক্ষামূলক স্তর) ভেঙে যায়, তখন দাঁতে সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। এটি দাঁতকে আরও প্রবেশযোগ্য করে তোলে, তরল এবং গ্যাস দাঁতের মধ্য দিয়ে আরও সহজে যেতে দেয়। অত্যন্ত অ্যাসিডিক খাবার, খুব ঠাণ্ডা পানীয়, দাঁত পিষে যাওয়া, ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা, শক্ত টুথব্রাশের ব্যবহার, মাড়ির স্লিপ এনামেলের ক্ষতি করতে পারে ও দাঁতকে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।

দাঁতের সংবেদনশীলতা কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো লবণের পানির ব্যবহার। এটি মুখের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে ও দাঁতের সমস্যা কমায়। এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ দিতে হবে। এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল ও কুলকুচি করুন। পাশাপাশি কয়েক মিনিট মুখের ভেতরে রাখার চেষ্টা করুন।

অয়েল পুলিং একটি আয়ুর্বেদিক কৌশল যা দাঁতের সংবেদনশীলতা নিরাময়ে সাহায্য করে। এর জন্য তিল ও নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মুখে কিছুটা তেল দিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিন। তারপর বের করে নিন।

মধু হলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। এটি ক্ষত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। মধু দাঁতের ব্যথা, ফোলাভাব ও প্রদাহ কমাতে পারে। সংবেদনশীল দাঁতের ব্যথা কমাতে গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে গার্গল করুন।

রসুনে রয়েছে এলিসিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। একটি রসুনের কোয়াকে বেঁটে নিন। এতে ৪-৫ ফোঁটা পানি দিন। এবার এতে অল্প লবণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি স্পর্শকাতর জায়গায় লাগান। ১৫ মিনিট রাখার পর হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি মুখের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। আপনি যদি দাঁতে শিরশিরানি ও ব্যথার সম্মুখীন হন তবে চিনি ছাড়া গ্রিন টি খেতে পারেন। এছাড়া গ্রিন টি দিনে দুবার মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করুন। এটি প্রদাহ কমাবে এবং দাঁত মজবুত করবে।

দাঁতের সংবেদনশীলতা এবং ব্যথা কমাতে পারে হলুদ। ব্যথা হচ্ছে যে জায়গাটিকে সেখানে হলুদ মালিশ করতে পারেন। এছাড়া আধা চা চামচ হলুদ নিয়ে তাতে লবণ ও সরষের তেল দিন। একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি দিনে দুবার দাঁতে লাগান।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।