ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উদযাপন ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: প্রতি বছরের মত এবারও বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে ‘একসঙ্গে হাত ধরি গ্লুকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যে একটি শোভাযাত্রা করা হয়।

এসময় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবতৈনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. সালেহ আহমেদ, প্রফেসর ডা. মো. মনয়ারুল ইসলাম, ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. জেরিন পারভিন, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি, ডা. আক্তার ফেরদৌসি জাহানসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবতৈনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. সালেহ আহমেদ দিবসটি উপলক্ষে ১০ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত গ্লুকোমা ইনভেস্টিগেশনের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেন।

এসময় ডা. সালেহ আহমেদ বলেন, গ্লুকোমা হলে চোখের প্রেসার বেড়ে গিয়ে চোখের ভেতরের অপটিক নার্ভসহ অন্যান্য জিনিসগুলোর ক্ষতি করে। গ্লুকোমা সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের বেশি হয়ে থাকে।  

গ্লুকোমা একটা ‘পেইনলেস ডিজিজ’ (ব্যথাহীন রোগ) মন্তব্য করে ডা. সালেহ আহমেদ বলেন, এটা আস্তে আস্তে মানুষের চোখের প্রেসার বাড়িয়ে দেয় এবং চোখকে অন্ধ করে দেয়। গ্লুকোমা হলে যাদের চোখে ব্যথা থাকে তারা সহজে ডাক্তারের কাছে চলে আসতে পারেন। কিন্তু যাদের কোনো ব্যথা হয় না তাদের সমস্যা বেশি হয়, তখন এই গ্লুকোমা সাইলেন্ট কিলার (নীরব ঘাতক) হিসেবে কাজ করে। আর এটাকে ‘ক্রনিক ওপেন এঙ্গেল গ্লুকোমা’ বলা হয়। এসব রোগীর চোখের নার্ভ একটা সময় শুকিয়ে যায়। আর যখন তারা চিকিৎসা নিতে আসে সে সময় অনেক দেরি হয়ে যায়।  

তিনি আরও বলেন, মানুষকে দৃষ্টিশক্তিহীন করতে গ্লুকোমা একটি প্রধান কারণ, তাই এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যারিস্টোভিশনের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবার সার্বিক সহযোগিতা চাইছি।

অনুষ্ঠানে ডা. আক্তার ফেরদৌসি জাহান বলেন, গ্লুকোমা একটি নীরব ঘাতক। এই রোগে সব সময় উপসর্গ থাকে না। এই রোগটা বাচ্চাদেরও হয়ে থাকে। প্রতিটা মানুষেরই বছরে অন্তত একবার ডাক্তারের কাছে এসে গ্লুকোমা পরীক্ষা করানো উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।