কুমিল্লা: দুই শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (১৭ মে) কুমিল্লার বুড়িচংয়ের শিকারপুর জামি’আ নূরে মুহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ চিকিৎসা কার্যক্রম।
এর আগে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২২ সালে সেখানে বিনামূল্যে তিন হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। শুধু কুমিল্লার মানুষ নন; নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষও এই ক্যাম্পে আসেন সেবা নিতে।
শুক্রবার তিনজন চিকিৎসকসহ ১১ জনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এই কমপ্লেক্সে সেবা দিতে আসেন। এ টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. মো. সালেহ আহমেদ।
ওই ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একে একে রোগীদের বুথে প্রবেশ করাচ্ছেন। সেখানে চোখের ত্রুটি ও দৃষ্টি পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরেকটি বুথে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ভালো সেবা পেয়ে খুশি রোগীরা।
চান্দিনার শ্রীমন্তপুর এলাকার বাসিন্দা মান্নান মোল্লা বলেন, চোখে ঝাপসা দেখি। প্রচণ্ড মাথাব্যথা করে। আগে পরিবারের অন্য সদস্যরা এ ক্যাম্পে এসে বিনামূল্যে সেবা নিয়েছেন। তাই এবার আমিও এসেছি।
নিমসার এলাকার বাসিন্দা নাফিসা আক্তার বলেন, চোখ জ্বালাপোড়া করে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। ডাক্তার দেখিয়েছি। তারা বিনামূল্যে ওষুধ দিয়েছেন।
শিকারপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিন বলেন, কাছের জিনিস কম দেখি। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। তাই এখানে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। হাতের কাছে এমন সেবা পাব কল্পনা করিনি।
আই ক্যাম্পের চিকিৎসক কাজী আদনান বলেন, ডা. মো. সালেহ আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে এখানে এসেছি। আজকে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে। চশমা যাদের দরকার তাদের তালিকা নেওয়া হচ্ছে। তাদের চশমা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া যাদের অপারেশন দরকার, তাদের পরে ঢাকায় নিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে। আজকের ক্যাম্পে অপারেশনের জন্য প্রায় ৬০ জনকে বাছাই করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
এইচএ/