ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শনিবার এক লাখের বেশি কেন্দ্রে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
শনিবার এক লাখের বেশি কেন্দ্রে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

ঢাকা: আগামী শনিবার (১ জুন) দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে। এ ক্যাম্পেইনে এক লাখের বেশি কেন্দ্রে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন জুন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম এ কথা জানান।

এতে বলা হয়, সারা দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার প্রায়েএক হাজার ২২৪ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, জুনের ১ তারিখ থেকে আমাদের সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হবে। উপকূলের যে-সব এলাকায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে অবস্থা ভালো হলে তাদের এ ক্যাপসুল দ্রুতই খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের উপকারিতা প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ হয়, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। এছাড়া হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমায়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। পরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। তার মানে এবার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় দুই কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে সর্বমোট স্বেচ্ছাসেবী সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে যে-সব নিয়ম মানতে হবে

১. শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।

২. কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে।

৩. জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।