ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জাতীয় ডায়াবেটিক সেবা দিবস: পাবনায় তালিকাভুক্ত রোগী ৩১ হাজার

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১২
জাতীয় ডায়াবেটিক সেবা দিবস: পাবনায় তালিকাভুক্ত রোগী ৩১ হাজার

পাবনা: বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৮৯ সালের এইদিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।



দিনটি জাতীয় ডায়াবেটিক সেবা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

ডায়াবেটিক সূত্র মতে, জেলা শহরে ২০ বছরের ওপর ৮ শতাংশ এবং গ্রামের একই বয়স সীমার প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বর্তমানে পাবনায় তালিকাভুক্ত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার। এ জেলায় বর্তমানে নারী-পুরুষের সংখ্যা ২৬ লাখ।

সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই এক বছরে ১ হাজার ৮শ ২৪ জন নারী এবং ১ হাজার ২শ ৮৫ জন পুরুষ পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন। বিনামূল্যে এবং স্বল্পমূল্যে ইনসুলিনপ্রাপ্ত রোগী রয়েছেন ২শ ৯০ জন।

পাবনা ডায়াবেটিস সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পাবনায় প্রতিদিন ২১ জন করে নতুন রোগী ডায়াবেটিস হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এ যাবৎ চিকিৎসাসেবী তালিকাভুক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১  হাজার। প্রতিদিন গড়ে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন ১৮৯ জন।

পাবনায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে সবাই চিকিৎসা সেবা বা রোগ পরীক্ষা করাতে যান না। যারা যান, তারাই তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু বেশিরভাগই তালিকার বাইরে রয়েছেন বলে সূত্র বাংলানিউজকে জানায়।

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের ইন-চার্জ ডা. এখলাছুর রহমান রুশো বাংলানিউজকে জানান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেমন হৃদরোগ, অন্ধত্ব, স্ট্রোক এবং পচনশীল অংশ কেটে ফেলে দেওয়া ইত্যাদি।

ডায়াবেটিক রোগীদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২ থেকে ৪ গুণ বেড়ে যায় রক্তনালী বিবিধ সমস্যার মধ্যে পড়লে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে ডা. এখলাছুর রহমান রুশো বাংলানিউজকে জানান, ধূমপান, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় পান করার কারণে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

এছাড়া শ্রম বিমুখতা, ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকা এবং স্থূলকায় হয়ে যাওয়াতেও রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। সচেতনতা না থাকায় বিভিন্ন জটিলতাসহ কিডনি অকেজো হওয়ার রোগীও বাড়ছে।

ডায়াবেটিসজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর দেড় হাজারেরও বেশি রোগীর কিডনি নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান তিনি ।

ডায়াবেটিক রোগীদের ঝুঁকিমুক্ত হওয়া বা ঝুঁকি কমানোর জন্য পরিমিত খাবার খাওয়া, নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম, ধূমপান বর্জন ও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

এদিকে, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বেবী ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দিনটি পালন উপলক্ষে পাবনা ডায়বেটিক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বিনামূল্যে গরিব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

এছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জীবনীর ওপর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১২
সম্পাদনা: রাফিয়া আরজু শিউলী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।