ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন শুরু ২৪ অক্টোবর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
রাজশাহীতে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন শুরু ২৪ অক্টোবর

রাজশাহী: রাজশাহীতে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। যা চলবে ১৮ দিনব্যাপী।

জরায়ুমুখে ক্যানসাররোধে এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে দেওয়া হবে। আর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।

রাজশাহীতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সোমবার (১৪ অক্টোবর) অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ক্যাম্পেইন সম্পর্কে এ তথ্য জানান।

সকাল সাড়ে ১০টায় নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার।

সভায় তিনি বলেন, সারাদেশে জরাযুমুখ ক্যানাসর প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।

তিনি বলেন, আজকের কিশোরী আগামীর মা। তাদের সুস্বাস্থোর ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৮ দিনব্যাপী। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখে দিতে হবে।

এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।

সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়িত করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনোয়ারুল কবীর, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক। এইচপিভি ক্যাম্পেইন বিষয়ে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ, রাসিকের সচিব মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যোবায়ের হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. কামরুজ্জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. ফারহানা হক।

উল্লেখ্য, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি, পাথ এর সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।