সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিশ্ব খাদ্যদিবস উপলক্ষে অচাষকৃত (খোঁটা) শাক রান্নার প্রতিযোগিতা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) শ্যামনগর পৌরসভার সোনামুগারী গ্রামে অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের খাদ্যগুণ ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো এবং সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণে এ রান্নার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন অ্যাগ্রোইকোলজি ২০২৪ এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এ রান্নার প্রতিযোগিতায় ১২ জন নারী বাড়ির আনাচে-কানাচে, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে সংগ্রহ করে কচুশাক, ঘোড়াসেঞ্চি, মাঠিফোড়া, ডুমুর, বুনো আমড়া, থানকুনি, শাপলা, কলমি, কলার মোচা, আদাবরুণ, তেলাকচু ও গিমে শাক রান্না করেন।
সোনামুগারী নারী সংগঠন, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবক কমিটির সহায়তায় গ্রামীণ এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল খাবার রান্না, স্বাদ গ্রহণ এবং শাকের সঙ্গে পরিচিতি।
অচাষকৃত শাক রান্না প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল মনির, ভুরুলিয়া ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষক রনজিত বর্মন, উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম আহসানউল্লাহ, কৃষাণী কোহিনুর বেগম, উন্নয়ন কর্মী লীমা বালা, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ, শিক্ষার্থী বন্যা, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, প্রতিমা চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ মণ্ডলসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলা করে টিকে থাকতে হয়। এক সময় শ্যামনগর এলাকা উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও ঘন ঘন দুর্যোগের কারণে তা কমতে শুরু করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক উৎস সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
এসআই