ঢাকা: জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল (জেবিএফএইচ) ২০ বছর আগে যে সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঢাকার গুলশানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এ হাসপাতালের পালক যুক্ত হলো এবার ধানমন্ডিতে আরেক শাখা স্থাপনের মাধ্যমে ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জারি বিভাগে যোগ দিয়েই ডাঃ সরদার নাঈম বুঝতে পারেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে।
সেই থেকে শুরু হয় এক স্বপ্ন দেখা । সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাথী হন তারই বন্ধু ডাঃ জুনাইদ শফিক।
আর জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বাস্তব রুপদানে এগিয়ে আসেন জাপানি বন্ধু ডাঃ সিগেরু সুগানামি।
ডাঃ সুগানামির সঙ্গে ডাঃ নাঈমের বন্ধুত্ব হয় ১৯৮৮ সালে যোগাযোগ হয় অ্যাসোসিয়েসন অব মেডিকেল ডক্টরস অব এশিয়া (আমদা) এর সুবাদে।
ডাঃ সুগানামি আমদারও প্রতিষ্ঠাতা। সেই থেকে ডাঃ সুগানামি তার স্ত্রী তোমোকো সুগানামি ও বাংলাদেশের তরুণ ডাক্তারদের সাহায্য সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল।
এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় ডাঃ সুগানামি বিনা সুদে ২০ বছর আগে দুই কোটি টাকা ঋণ নেন।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের এই মহান পুরুষ ডাঃ সিগেরু সুগানামি শুক্রবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন । দেশের স্বনামধন্য ডাক্তারগণ, হসপিটালের স্টাফ, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ও মিডিয়া তাকে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
হাসপাতালটির পক্ষ থেকে তাকে ক্রেষ্ট তুলে দেন হাসপাতালটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ জোনাইদ শফিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডাঃ সরদার এ নাঈম।
এ সময় ডাঃ সিগেরু সুগানামি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা শুধু ঢাকাতে নয়, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান , দেশের যে কোনো দুর্যোগ যেমন- আইলা, সিডর, বন্যায় ত্রাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন এই হাসপাতাল জাপান ও বাংলাদেশের ঐক্যের প্রতীকী । বিভিন্ন মানবসেবা মূলক কর্মকাণ্ডে জাপান সরকার সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে ও ভবিষ্যৎ এ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিস্মেবর ২১, ২০১২
এমআইএস/ সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর