সিলেট: যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিলেটের বালুচরে অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব)।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট-এর উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সুমন কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের যক্ষা বিষয়ক কনসালট্যান্ট ডা. শাহ আলম, নাটাব সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক অমর রঞ্জন দেব রায় প্রমূখ।
সভায় বক্তৃতাকালে সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের যক্ষা বিষয়ক কনসালট্যান্ট ডা. শাহ আলম জানান- ২০১১ সালে সারা বিশ্বে ১ কোটি লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ লোক মারা যায়।
তিনি আরো জানান- যক্ষ্মার প্রকোপ প্রবণ হিসেবে বিশ্বের ১০টি দেশকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে যথাক্রমে ভারত ও চীন। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
তিনি জানান- ২০১১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ২লাখ মানুষ যক্ষায় আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার রোগী যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এছাড়া প্রতি বছর নতুন করে প্রতি ১লাখে ২২৫ জন লোক নতুন করে যক্ষায় আক্রান্ত হয়।
এটা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে যক্ষা নিয়ন্ত্রণে সর্বস্তরের লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন- যক্ষা এমন একটি সংক্রামক ব্যাধি যা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ রোগ প্রতিরোধ করতে হবে।
এক্ষেত্রে ইমামদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইমামগণ হলেন সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। সাধারণ লোকজন ইমামগণের কথা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে পালন করেন।
তাই প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় ও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি যক্ষা বিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য তুলে ধরতে তিনি ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভায় সিলেট জেলার বিভিন্ন মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১২
ইএইচ/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর,নিউজরুম এডিটর