ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৪০ বছরের পুরাতন ওষুধে চিকিৎসা হয় যক্ষার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১২
৪০ বছরের পুরাতন ওষুধে চিকিৎসা হয় যক্ষার

ঢাকা: ২০১২ সালেও যক্ষা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ৪০ বছরের পুরাতন এন্টিবায়োটিক, যা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. এম এ ফয়েজ।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ভিআইপি মিলনায়তনে ‘যক্ষা সচেতনতায় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক হেলথ জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।



স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ব্র্যাক যৌথভাবে এই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, “যক্ষা বিশ্বব্যাপী একটি মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিচিত। সারা পৃথিবীতে প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক যক্ষা রোগে আক্রান্ত। যার প্রায় ৪০ ভাগ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বসবাস করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখের বেশি লোক নতুনভাবে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি বছর প্রায় ৬৭ হাজার লোক যক্ষার কারণে মারা যায় অর্থাৎ প্রতি লাখে ৪৫ জন। ”

জনসাধারণের সচেতনতা, কুসংস্কার, চিকিৎসায় অপর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ চিকিৎসকের অভাবই এর প্রধান কারন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গ্রামের তুলনায় শহরে যক্ষার প্রকোপ বেশি দেখা যায় এর অর্থ শহরে বেশি যক্ষা হয় এই ধারণাটি ভুল দাবি করে তিনি বলেন, “শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ কম সচেতন হওয়ায় এবং গ্রামের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার কম থাকায় যক্ষা রোগী ধরা পরে না। প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার নতুন মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) যক্ষা রোগী তৈরি হয় যার মাত্র প্রায় ২ হাজার রোগী সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ”

সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল কফে যক্ষা জীবাণুযুক্ত রোগীর ৭০ ভাগ সনাক্ত করা যা ২০০৬ সালে আমরা অতিক্রম করেছি এবং সনাক্তকৃত রোগীর ৮৫ ভাগ রোগীকে আরোগ্য করা যা আমরা ২০০৩ সালে অতিক্রম করেছি। ”
    
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লেপ্রোসি বিভাগের ডা. আশিক হোসেনের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির কনসালটেন্ট ডা. দ্বীপক কুমার বিশ্বাস, ব্র্যাক ন্যাশনাল প্রোগ্রাম যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কনসালটেন্ট ডা. মজিবর রহমান, আইসিডিডিআরবি’র যক্ষা বিভাগের প্রধান ডা. কে জামান ব্র্র্যাকের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ডা. জাকিয়া সুলতানা সিদ্দিকী।

এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার তৌফিক মারুফ, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম আজাদ, দৈনিক প্রথম আলোর স্পেশাল রিপোর্টার শিশির মোড়ল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১,২০১২
এটি/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।