ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, “মাতৃত্ব সম্পর্কে যথাযথ তথ্য ও সেবার সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারলে মাতৃমৃত্যু হার আরও কমানো সম্ভব। ”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের ‘অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ও অনিরাপদ এমআর রোধ প্রকল্প’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন মায়ের প্রসবকালে মৃত্যু হচ্ছে। গর্ভধারণের জটিলতা সম্পর্কে সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে যথাযথ তথ্য থাকে না বলে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। ”
তিনি আরও বলেন, “মাঠ পর্যায়ে সরকারের দূর্বল জায়গাগুলোতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) এগিয়ে এসে সাহায্য করতে পারে। এই দূর্বলতাগুলো দূর করার কর্মসূচি প্রণয়ন করে সরকারের সঙ্গে এনজিওগুলো কাজ করলে দেশের সুষ্ঠু উন্নয়ন সম্ভব। ”
সরকার বেসরকারি সংস্থার কাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সমন্বিত উন্নয়নের স্বার্থেই পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন। ”
তিনি এনজিওগুলোকে জটিল পরিস্থিতির গর্ভবর্তী মায়েদের চিহ্নিতকরণ ও তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা বাড়াতে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গারবেন সেফোর্ড দে জং, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম আমির হোসেন ও বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি আর্থার অ্যারকিন বক্তব্য রাখেন।
মেরি স্টোপস বাংলাদেশ, অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অব সেপটিক অ্যাবরশন বাংলাদেশ (বাপসা), সুশীলন এবং ফুলকির সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে নেদারল্যান্ড দূতাবাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৩
এমএন/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর eic@banglanews24.com