ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৪ ফেব্রুয়ারি,বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

‘ক্যানসার: আপনি কি জানেন?’

আমিনুল ইসলাম সুজন, সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৩
‘ক্যানসার: আপনি কি জানেন?’

ঢাকা: ক্যানসার: আপনি কি জানেন?’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ।

অধিকাংশ মানুষের ধারণা ক্যান্সারে আক্রান্তদের মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন আমরা জানি, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবু এটি একটি জটিল, ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদী রোগ হিসেবে পরিগণিত।

পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যানসার। বর্তমানে প্রতিদিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে একুশ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ৭৬ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর মধ্যে দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে মৃত্যুর হার ৭০ ভাগ।

ক্যানসারের ক্রমবর্ধমান মৃত্যু রোধের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণকল্পে ২০০৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ শীর্ষক এক নীতি প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।

মুখ গহ্বরের ক্যানসার, ফুসফুস ক্যান্সারসহ পঞ্চাশ ভাগ ক্যান্সার তামাক, মাদকদ্রব্য এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যানসার, বৃহদান্ত্রের ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে নিরাময় করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লেও এটি এমন একটি রোগ, যে রোগের চিকিৎসা জটিল, ব্যয়বহুল। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করাই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার নিয়ে অনেকগুলো ভুল ধারণা লক্ষ্যণীয়। এ ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এ বছর বিশ্ব ক্যানসার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘ক্যানসার: আপনি কি জানেন?’ ক্যানসার সম্পর্কিত ভুল ধারণা দূর করার জন্য এ বছর কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন,

ভুল ধারণা ১: কেউ কেউ মনে করেন, ক্যানসার শুধুই একটি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমস্যা।

সঠিক তথ্য: ক্যানসার মোটেও শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমস্যা নয়। বরং ক্যানসার সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় সমস্যা। উন্নয়নে অন্তরায় ও এ রোগ মানুষের সুস্থ থাকার অধিকার খর্ব করে।

ভুল ধারণা ২: কেউ কেউ মনে করেন, ক্যানসার ধনীদের রোগ, বয়স্কদের রোগ, উন্নত দেশের রোগ।

সঠিক তথ্য: ক্যানসার বিশ্বব্যাপী এক মহামারীর নাম। যে কোনো বয়সে, যে কোনো আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্যান্সার এক ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতা।

ভুল ধারণা ৩:  ক্যানসার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু।

সঠিক তথ্য: এক সময় অধিকাংশ ক্যানসার মানে মৃত্যুই বিবেচনা করা হতো। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন অনেক ক্যানসার জনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব।

ভুল ধারণা ৪: কপালে ছিল, তাই ক্যান্সার হয়েছে।
 
সঠিক তথ্য: সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে, তামাক ও মাদক বর্জন, ফাস্টফুড-জাঙ্কফুড বর্জন, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, মোড়কজাত কেমিকেল জুস বর্জন, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ও তেলে ভাজা খাবার বর্জনের পাশাপাশি তাজা শাক-সবজি, ফলমূল খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

বিশেষত, ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য তামাক সেবন বর্জন করা খুবই জরুরি। কারণ, ৩০ ভাগ ক্যানসারের জন্যই দায়ী ধূমপানসহ তামাক সেবন। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, সাদাপাতা, হুক্কার তামাক, জর্দা, গুল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, টার বা আলকাতরা, আর্সেনিক, মিথানল, ন্যাপথলিন, বেনজোপাইরিন, সায়ানাইড, অ্যামোনিয়া, অক্সিডেন্টসহ ৪০০০-এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৩টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত।

শুধু তামাকজনিত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে ১৫ লাখসহ তামাক সেবনজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৪ লাখ মানুষ মারা যায়। তামাকজনিত ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। আগামী ২০৩০ সালে শুধু তামাকজনিত ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াবে ২১ লক্ষাধিক এবং তামাকজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা হবে এক কোটি। এর মধ্যে ৭০ ভাগ উন্নয়নশীল ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে মারা যায়। শুধু ধূমপান বা চর্বনযোগ্য তামাক সেবনই নয়, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরাও ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

তামাকের এ ব্যাপক ভয়াবহতা দূর করতে ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৩ সালে এফসিটিসি নামক আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি করেছে। বাংলাদেশ এ চুক্তি স্বাক্ষর ও ৠাটিফাই করেছে।

এফসিটিসির আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ হয়েছে। আইনের শিরোনামে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের (নিয়ন্ত্রণ) কথা বলা হলেও আইনের ভিতরে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় শুধু বিড়ি-সিগারেটসহ ধূমপানের উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এখানে সাদাপাতা, জর্দা, গুলসহ চর্বনযোগ্য তামাককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যে কারণে আইন হওয়ার পর এসব চর্বনযোগ্য তামাকের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে ক্যান্সার ও তামাকজনিত রোগ-ব্যাধি। তাই ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাদাপাতা, জর্দা, গুলসহ চর্বনযোগ্য সকল তামাককে অন্তর্ভুক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা জরুরি।

ক্যানসারের বিস্তার প্রতিরোধে কর্মরত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) এর ২০০৮ সালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে এক লাখ ৪১ হাজার ১০০ জনের নতুন করে ক্যানসার রোগ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার পুরুষ এবং ৮১ হাজার ১০০ নারী। এ গবেষণায় আরও বলা হয়, গড়ে প্রতিবছর এক লাখ তিন হাজার ৩০০ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী মারা যায়, যার মধ্যে ৪৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ এবং ৫৪ হাজার ৪০০ জন নারী ।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এ থেকে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে চর্বনযোগ্য তামাক (সাদা পাতা, গুল, জর্দা ইত্যাদি) সেবনের বিষয়টি পরিস্কারভাবে উঠে আসে।

উল্লেখ করা দরকার, পৃথিবীতে যেসব দেশে চর্বনযোগ্য তামাক ব্যবহৃত হয়, সেসব দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে চর্বনযোগ্য তামাক সেবনের হার সর্বাধিক। ২০০৯ সালে পরিচালিত গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গ্যাটস) তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ২৯ ভাগ নারী চর্বনযোগ্য তামাক সেবন করে।

ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান এবং  ৯৫ভাগ ফুসফুস ক্যানসারে জন্য দায়ী ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপান। মুখ ও মুখ গহ্বর এবং স্বরনালী ক্যানসারের প্রধান কারণ তামাক সেবন (ধূমপান ও সাদা পাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদি সেবন)। তামাক সেবন ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।  

আগেই বলা হয়েছে, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা খুব জটিল ও ব্যয়বহুল। তাছাড়া বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবাও অপ্রতুল। যারা সামর্থ্যবান তারা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তারা দেশের অপ্রতুল চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে বাধ্য হন। সহায় সম্পত্তি বিক্রি করেও ক্যান্সার রোগীকে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেন না।

যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাদের পরিবারের অনেক অর্থ এ রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। অন্যদিকে, ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সরকারকেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।

উন্নত দেশগুলোও এখন ক্যান্সার প্রতিরোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। ক্যান্সার প্রতিরোধের কথা বলা হলে শুরুতেই তামাক নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। কারণ ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান ও তামাক সেবন। তাই আজ বাংলাদেশেও এ দাবি জোরালো হয়েছে যে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনেস্ট ক্যান্সার (ইউআইসিসি) এর উদ্যোগে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৬ সাল থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিবসটি গুরুত্বসহকারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালন করছে। বাংলাদেশে প্রয়াত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি’ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যানসার ইনস্টিটিউট, নিপসম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ক্যানসার সচেতনতা সৃষ্টিতে ৮০ দশকের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে।

বিগত কয়েক বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির কার্যক্রম অনেক বেড়েছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এ সংগঠনটি এবং এর সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো তামাকজনিত ক্যানসার সচেতনতা এবং ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

এ মরণব্যাধি আমাদেরই প্রতিরোধ করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করতে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। বিশেষত, সাদাপাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদি চর্বনযোগ্য তামাককে আইন, কর ও মোড়কের আওতায় আনা জরুরি। সব ধরনের তামাকের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন করা দরকার। পাশাপাশি সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা প্রয়োজন।

উল্লেখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা দরকার। এরই মধ্যে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। যা গত বছর নভেম্বরে মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন করে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মন্ত্রিসভা কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদিত আইনটি এখনও সংসদে উত্থাপিত হয়নি।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদ সদস্যদের ক্লাবে (পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব) অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অভিযোগ ওঠে, একটি ধারায় কয়েকটি শব্দের পরিবর্তনের জন্য আইনটি দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে আইন মন্ত্রণালয় আটকে রেখেছে। এ সংসদে পাস করার জন্য এখনও সময় আছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি জনস্বার্থে আইন মন্ত্রণালয় থেকে বের করে সংসদে উত্থাপন ও পাসের উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। আশা করি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবে।  

এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, তামাকের ব্যবহার কমাতে পারলে দেশে তামাকজনিত ক্যানসার এবং ক্যানসারজনিত মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসবে।

লেখক পরিচিতি:
আমিনুল ইসলাম সুজন,
গ্লোবাল ক্যান্সার এম্বাসেডর ফর বাংলাদেশ
নির্বাহী সম্পাদক, সমস্বর
০১৭১১-৩৮৬৭৯৭

২. সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন
মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার,
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট
০১৫৫২-৪৪২৮১৪

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।