ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গরমে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ১০ গুণ

স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৩
গরমে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ১০ গুণ

ঢাকা: তীব্র গরমে বেড়ে চলেছে শিশু রোগীর সংখ্যা। গরমের কারণে হাই ফিভার, বমিটিং এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।



ঢাকা শিশু হাসপাতালের তথ্য মতে, বিগত তিন দিনের গরমে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। ১৫ জুন শুধু গরমের কারণে অসুস্থ্ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর সংখ্যা ছিল ৬৯৫ ।

এরমধ্যে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১৩। ১৬ জুন মোট চিকিৎসা নিতে আসে ৬০৬টি শিশু। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০৬টি এবং ১৭ জুন মোট চিকিৎসা নিতে আসে ৬০২ । এরমধ্যে বর্তমানে ১১৫ টি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশুদের অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা কনসালটেন্ট ডা. পিকে দাস বাংলানিউজকে বলেন, “আগের তুলনায় গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই প্রায় ৬’শ থেকে ৭’শ শিশু অসুস্থ্ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। গরমে ঘেমে ঠাণ্ডা লাগার কারণে জ্বর-ব্যথা এবং তীব্র ব্যথার কারণে বমি এবং কোন কোন শিশুর পানি স্বল্পতা এবং ডায়রিয়া হচ্ছে। ”
 
ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক, সহকারী অধ্যাপক হোসেন শহীদ কামরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, “প্রতি বছরই গরম ঋতুতে শিশু অসুস্থতার হার বেড়ে যায়। এবারও হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় গত তিন দিনে শিশু অসুস্থতার হার বেড়ে গেছে।

তবে এ সময় যদি বাচ্চাদের নিয়মিত খাবার স্যালাইন খাওয়ানো হয় তবে এ ধরনের অসুস্থতার হার কমিয়ে আনা সম্ভব। গত সাত দিনে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় মৃত্যুর হার বাড়েনি। আমাদের হাসপাতালে মোট ৫৬০টি বেড রয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত রোগী এলে আমরা অন্য জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পারামর্শ দিচ্ছি। ”

শিশু অসুস্থ হলে কোন ধরণের ঝুঁকি না নিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পরামর্শও দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৩
জিএম মুজিবুর/এটি/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর, এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।