ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বি-ব্যান এর যাত্রা শুরু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৩
বি-ব্যান এর যাত্রা শুরু

ঢাকা: মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান অ্যাজবেটস বাংলাদেশে আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ দাবিতে গঠিত হলো বাংলাদেশ অ্যাজবেসটস নেটওয়ার্ক বা বি-ব্যান।

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন- এ এশিয়া অ্যাজবেসটস নেটওয়ার্কের দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে গঠন করা হয় সংগঠনটি।

 

ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী কেমিকেল ‘অ্যাজবেসটস’ এর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধে একত্রে কাজ করতে হবে। ব্র্যাক সেন্টার ইনে অনুষ্ঠিত অ্যাসবেসটরস এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা বিষয়ে এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাজবেসটস একটি শিল্প কাঁচামাল। নির্মাণ কাজে ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহৃত হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভবনের ছাদে বা সিলিংয়ে ব্যবহার করা হয় কাঁচামালটি। তবে এটি নাকে-মুখে গিয়ে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
 
বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্প, অবকাঠামো নির্মাণ ও বিভিন্ন কল-কারখানায়ও অ্যাজবেসটসের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কোনো নিয়ম নীতি বা সর্তকতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকরা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।

বক্তারা আরো বলেন, অ্যাজবেসটস এর প্রভাবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমিকরা। যারা পেশাগত কারণে অ্যাজবেসটস ব্যবহার করে। আবার অ্যাজবেসটস ব্যবহারকারী কারখানাগুলোর আশেপাশে যারা বসবাস করে তারও ব্যাপকভাবে ফুসফুস প্রদাহে আক্রান্ত হয়।

দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৮০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক নেতা, ডাক্তার, ভিকটিম এবং শ্রমিক সংগঠন, ভোক্তা শ্রেণী ও সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর মধ্যে ছিল এশিয়া অঞ্চলে ১৭টি দেশে ৩৬ জন প্রতিনিধি।

সেমিনারে জানানো হয়, প্রতিবছর প্রায় এক লাখ লোক অ্যাসবেস্টর থেকে সৃষ্ট ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে এরই মধ্যে এই ক্যামিকেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ-ব্যান এশিয়ায় অ্যাসবেস্টর এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এশিয়ার ১৪টিরও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করছে।

এ সম্মেলন থেকে আসা ঘোষণাপত্রে প্রতি বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহকে ‘অ্যাসবেসটরস সপ্তাহ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

বি-ব্যান গঠনের পর সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি অ্যান্ড এনভারমেন্ট বা ওশি’র কার্যালয়ই এখন থেকে বি-ব্যানের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।