ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নামেই ‘আধুনিক’ জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪
নামেই ‘আধুনিক’ জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জয়পুরহাট: জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালটি নামেই ‘আধুনিক’। এখানে সার্জারি, চক্ষু ও নাক-কান-গলা বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।

তাই দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ তিন বিভাগে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।

সেই সঙ্গে সার্জারি, চক্ষু, গাইনি, চর্মরোগ ও নাক-কান-গলা বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সার্জন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল অফিসার নেই এ হাসপাতালে।

হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করার অনুমোদন পেলেও এখনো বাকি ৫০ শয্যার জন্য পথ্য ও এমএসআর খাতে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ফলে রোগীরা প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ পাচ্ছে না। এছাড়া প্রচণ্ড শীতে মেঝেতেই গাদাগাদি করে শুয়ে-বসে চিকিৎসা নিচ্ছে তারা।

জয়পুরহাট জেলাসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সালে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে।

জয়পুরহাট, পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর, বগুড়া ও নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উন্নত চিকিৎসার আশায় প্রতিদিন গড়ে এক হাজার রোগী ভিড় জমায় এ হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সার্জারি, চক্ষু ও নাক-কান-গলা বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করাতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের দু’টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি অকেজো। ফলে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই রাজশাহী, দিনাজপুর ও বগুড়ায় রোগী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা।

সেই সঙ্গে হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ঝাড়ুদারের ২০টি পদের সবগুলোই শূন্য রয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবনও নেই। এসব সমস্যার কারণে অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার নোমান চৌধুরী সমস্যাগুলোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে অনেক কষ্ট করে হাসপাতাল কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।