ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যুগপোযোগী নার্সিং শিক্ষা পদ্ধতি জনস্বাস্থ্যের পৃষ্ঠপোষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৪
যুগপোযোগী নার্সিং শিক্ষা পদ্ধতি জনস্বাস্থ্যের পৃষ্ঠপোষক ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একটি যুগপোযোগী নার্সিং শিক্ষা পদ্ধতি শুশ্রুষাকারী ও রোগীর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্যের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই সঙ্গে নার্সদের দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।



রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার অগ্রযাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।  
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আইইউবিএটি’র সেন্টার ফর পলিসি রিসার্সের মাধ্যমে বইটি লেখা হয়েছে।  
 
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আলিম উল্যা মিয়ান। বইটির পরিচিতি তুলে ধরেন আইইউবিএটি’র আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও লেখক অধ্যাপক অ্যালেক্স বারল্যন্ড।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাইমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির পাবলিক পলিসি’র অধ্যাপক ড. রিচার্ড।
 
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আধুনিক নার্সিং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটি যুগপোযোগী নার্সিং শিক্ষা পদ্ধতি শুশ্রুষাকারী ও রোগীর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্যের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে নার্সদের দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
 
বক্তারা আরও বলেন, নার্সদের সম্মানজনক পদবী, আচার-ব্যবহার ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনলে এ পেশায় আসতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করবেন। নার্সদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে দেশের চাহিদা পূরণ করে দেশের বাইরেও তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া যাবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নার্স ইনস্টিটিউশনের সংখ্যা খুবই কম। যেগুলো আছে তার গুণগত মানও ভালো না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেশের বাইরে থেকে নার্স আনতে হচ্ছে।
 
আয়োজকরা জানান, বইটিতে নার্সিং শিক্ষা বিষয়ে একটি কর্মকৌশলের প্রস্তাবনা রয়েছে। নার্সিং শিক্ষায় যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে নার্সিং শিক্ষার বর্তমান অবস্থার সার সংক্ষেপ লিপিবদ্ধ আছে।

আইইউবিএটি’র সাথে কানাডার মিড মেইন কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার ও সাইমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির সহযোগিতামূলক প্রকল্পের ফল এই বই।  

বইটিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের নার্স ও জনসংখ্যার অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে নার্সিং শিক্ষার বিস্তার করতে হলে নার্সিং শিক্ষার উপকরণের সার্বিক উন্নয়নে একটি নেতৃত্বদানকারী ও পথনিদর্শক কর্মকৌশল তৈরি করতে হবে। দেশব্যাপী সহযোগিতা ও সহায়তামূলক প্রচেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।