ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওজন কমানোর ১০ খাদ্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪
ওজন কমানোর ১০ খাদ্য

ঢাকা: অতিরিক্ত ওজন? মুটিয়ে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন? অথচ খাবার-দাবারে আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যখন যা পাচ্ছেন গোগ্রাসে গিলছেন।

ওদিকে ব্যয়াম করে ঘাম ঝরাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত-অপুষ্টিকর খাবার খেয়ে পরিশ্রম করলেও কোনো কাজে আসবে না। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু খাবারই পারে আপনার বেড়ে যাওয়া ওজনের লাগাম টেনে ধরতে। অবশ্য বাজারে আজকাল দ্রুত ওজন কমানোর নানা পথ্য পাওয়া গেলেও সেটা স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আসুন ব্যয়ামের পাশাপাশি খাবারেও সচেতন হই।

ক্যালসিয়াম: আপনি হয়ত ছোট বেলা থেকে শুনে শুনে বড় হয়েছেন যে ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে। এবার নতুন করে জেনে নিন ক্যালসিয়াম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দুধের মতো অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে খুবই অল্প পরিমাণে ফ্যাট থাকে। তাই বেশি বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।

আপেল: কথায় আছে, ডাক্তারের কাছ থেকে ওজন কমানোর পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না যদি আপনি নিয়মিত নিয়মিত আপেল খান। আপেলে দেহে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এমন চর্বি কোষ ধ্বংস করে।

আখরোট: আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাট আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকে যা দেহের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

মটরশুটি: মটরশুঁটিতে অল্প চর্বি, স্বল্প গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, উচ্চমাত্রায় আঁশ ও প্রোটিন থাকে। নিরামিষভোজীদের এ খাদ্যটি দেহের ফ্যাট কমাতে দারুণ উপকারি।

আদা: আদার অনেক গুণ। অনেকে আদাকে জাদুকরি খাদ্য বা ম্যাজিক্যাল ফুড বলেন। এটি হজম সমস্যা দূরীরকরণ, অতিরিক্ত ক্যালরি নষ্ট, প্রদাহ রোধ, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি ও পেশি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

জইসমৃদ্ধ খাবার: সকালে হাঁটার পর যখন নাস্তা খেতে বসবেন সেখানে অবশ্যই জইসমেত খাবার রাখুন। তাহলে ব্লাড সুগার ও ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকবে। স্লো ডাইজেস্টিং ফুড হবার কারণে আপনার ওজন কমিয়ে আনবে জই।

সবুজ চা: সবুজ চায়ের বহুবিধ গুণের কথা হয়ত অনেকেই জানেন। আর এটিও নিশ্চয় জানেন এই চা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে পারে।

ঝাল মরিচ: চর্বি-ক্যালরি পুড়িয়ে দেহের মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ঝাল মরিচ। তাই খাবারের সঙ্গে ঝাল মরিচ খেতে কোনো বারণ নেই।

পানি: যদিও পানি কোনো খাদ্য নয়, তারপরও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এটি দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বেশি বেশি পানি খেলে দেহে ফ্যাট কমে।

ডিম: আমাদের চারপাশে যেসব খাদ্য পাওয়া যায় তার মধ্যে ডিমই সবচেয়ে সহজলভ্য চর্বি-নিরোধক খাদ্য। ডিমের কুসুমতো চর্বি কাটাতে দারুণ সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।