ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জেনেভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক হওয়া উচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪
পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক হওয়া উচিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম / ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কাঠামো স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রিক হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগ, জলবায়ু সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি, অভিবাসী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সমস্যা, ‍সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যসেবায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগের উপর ভবিষ্যতে বিশেষ নজর দিয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।



বৃহষ্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ প্যালেসের অ্যাসেম্বলি হলে ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের উচ্চ পর্যায়ের কারিগরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা  বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধের অপ্রতুলতা, ওষুধের যথেচ্ছ প্রয়োগ, জীবাণু প্রতিরোধের কার্যকরিতা হ্রাস এবং অটিজম জাতীয় মানসিক ও স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা মোকাবেলায় দক্ষ বিশেষজ্ঞের অভাব আজ বিশ্ববাসীকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বাংলাদেশও এর উর্দ্ধে নয়। তাই বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের সাহসী ও দৃষ্টান্তমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে মা ও শিশু স্বাস্থের উন্নয়ন ঘটেছে। শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে কাংক্ষিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি ৪ অর্জন করেছে। মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি ৫ অর্জনের খুব কাছাকাছি বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যদিও বাংলাদেশ আয়তনে খুবই ক্ষুদ্র এবং বিশাল জনসংখ্যা অধ্যুষিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে অহরহ ঘটছে। তারপরও স্বাস্থ্য খাতের ভৌত অবকাঠামো সুবিধা এখানে বিরাজমান। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনাও এখানে দক্ষ ও কার্যকর। যার প্রকৃত উধাহরণ হতে পারে কমিউনিটি ক্লিনিক। যা প্রতি ছয় হাজার মানুষকে নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শিশুদের টিকাদান, ভিটামিন ‘এ’ ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচিতে আমরা আমাদের প্রায় সব শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করতে স্বক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগের জন্য স্যালাইনের প্রতুলতা এবং পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে দেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করে মেয়েদের বিয়ের বয়স সীমা বাড়িয়ে এবং গর্ভবতী ও প্রসুতি নারীর স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।