ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে খুলনায় আধুনিক হৃদরোগ কেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৪
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে খুলনায় আধুনিক হৃদরোগ কেন্দ্র

ঢাকা: দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খুলনায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত ভারতের ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের এএফসি হেলথ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত হবে  একটি আধুনিক হৃদরোগ পরিচর্যা কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক পরিচালক সুনীল কাপুর এবং এএফসি হেলথ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম সাইফুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এএফসি হেলথ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবিএম গোলাম মোস্তফা এবং ফর্টিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ প্রধান আনাস আবদুল ওয়াজিদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সুনীল কাপুর বলেন, “খুলনার এই কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারটি উচ্চমানের হৃদরোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণের সব ধরনের হৃদরোগ সমস্যায় এটি হবে একটি ওয়ান-স্টপ কেন্দ্র। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ ও দক্ষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ থাকার কারণে এ কেন্দ্রটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিরূপণ ও চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হবে। এর ফলে হৃদরোগ চিকিৎসার ফলাফলেও যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে। ”

এস এম সাইফুর রহমান বলেন, “এএফসি হেলথ কেয়ার লিমিটেড দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভূমিকা রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ফর্টিস এসকর্টস-এর সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে এবং দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণে সহায়ক হবে”।

খুলনায় কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারে এনজিওগ্রাফি, এনজিওপ্ল্যাস্টি, কৃত্রিম পেসমেকার, করোনারি বাইপাস সার্জারি, ভালভ প্রতিস্থাপন, পেরিফেরি বাইপাস সার্জারিসহ বিভিন্ন চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় সেবা প্রদান করা হবে।

এশিয়ার অন্যতম মরণব্যাধি হৃদরোগ বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আইসিডিডিআর’বির ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগদ বাংলাদেশে হৃদরোগের কারণে মৃত্যু হার ২০০৩ সালের তুলনায় ২১ গুণ বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন দেশে ইন্টারহার্ট কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনগণ একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এমআই)-এর জন্য উপস্থিত রিস্ক ফ্যাক্টর  হিসেবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।