ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন চালুর আহবান স্পিকারের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪
স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন চালুর আহবান স্পিকারের ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রতিটি স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, একটু স্বাস্থ্য  সচেতন হলেই যেহেতু এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে কেন আমরা সেটা করবো না।


 
সোমবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে অডিটরিয়ামে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে গণমুখী সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
 
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, সহ সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর আর এ খন্দকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।
 
স্পিকার বলেন, আমরা জীবনটাকে সহজতর করতে ইচ্ছা করেই শিশুদের অস্বাস্থ্যকর টিফিন তুলে দিচ্ছি তাদের ব্যাগে। এতে করে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছি। এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান করেন তিনি।
 
স্পিকার সকলকে জীবন-মানের পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে বলেন, মানুষের সামাজিক জীবন ধারণেও পরিবর্তন দরকার। যদি সামাজিক বন্ধনে একে অপরের সুখ-দুঃখ বিনিময় করা যায় তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন সম্ভব।   আর এতেই সুস্থ জীবনের অনেকাংশ নির্ভর করে।
 
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৭৩ লাখ লোক শুধুমাত্র হৃদরোগে মারা যান। এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ২ কোটি ৩০ লাখ লোক হৃদরোগে মারা যাবেন। অথচ শুধুমত্র জীবনাচারণের কিছু নিয়ম মেনে চললেই এ রোগে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ এবং তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ না করলেই অনেক মৃত্যু ঝুঁকি কমাবে।
 
সেমিনারে হার্ট দিবস উপলক্ষে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে টিভি এবং রেডিওতে ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের বিজ্ঞাপন প্র্রচারে নিয়ন্ত্রণ করা, অস্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চহারে করারোপ এবং স্থানীয়ভাবে ফল-মূল এ শাকসবজি উৎপাদনে সহযোগিতা করা, তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা, পাবলিক প্লেসের পাশাপাশি হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকা  শতভাগ ধুমপানমুক্ত করা। এছাড়া হৃদরোগের চিকিৎসা সহজতর করা সুপারিশও করা হয়।
 
মূল প্রবন্ধে আরো বলা হয়, সকলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে ২০২৫ সালের মধ্যে হৃদরোগে মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।