ঢাকা: থ্যালাসেমিয়া রোগাক্রান্ত দুই বাহক যদি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হন তাহলে এ রোগাক্রান্ত সন্তান জন্মরোধ সম্ভব।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হসপিটালস ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল।
এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন-ই রোগের বাহক। সে অনুযায়ী দেশে প্রায় দেড়কোটির বেশি এ রোগের বাহক রয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০ হাজার শিশু এ রোগে ভুগছে। প্রতিবছর প্রায় ১০-২০ হাজার শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সচেতনতাই একমাত্র এ রোগের প্রসার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
বাবা-মা উভয়ে এ রোগের জিন বহন করলে তাদের সন্তানদের মধ্যে জন্মের সময় থেকেই থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের দুই বছর পর এ রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রচণ্ড রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডা. শরত দামদর। এছাড়া সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোশাররফ হোসেন।
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের দূর্বিসহ জীবন থেকে পরিত্রাণের জন্য সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসা এবং সাধারণের মাঝে এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
এফবি/ জেডএস