ঢাকা: বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার ১.৫৩ শতাংশ। যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের শিকার।
বুধবার (৩০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে “আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংক ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপন” শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এ তথ্য জানানো হয়।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি, রোটারি ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব আই অ্যান্ড টিসু ব্যাংকস (আইএফইটিবি) এবং টিস্যু ব্যাংকস ইন্টারন্যাশনাল (টিবিআই) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
সিম্পোজিয়ামে আরও জাননো হয়, দেশে বর্তমানে কর্নিয়াজনিত অন্ধের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। প্রতিনিয়তই এই সংখ্যা বাড়ছে। গড়ে প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি নতুন করে কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের শিকার হচ্ছেন।
ইতোমধ্যে আয়োজক সংগঠনগুলো কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব বিমোচনে জাতীয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আগামী ২ বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার কর্নিয়া প্রতিস্থাপন এবং ৮শ’ মেডিকেল শিক্ষার্থী, তরুণ চিকিৎসক, রোটারিয়ান, স্বেচ্ছাসেবকদের কর্নিয়া সংগ্রহের প্রশিক্ষণ ও কর্নিয়া সার্জনদের কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট (৩২৮১) গর্ভনর এসএএম শওকত হোসেন, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব আই অ্যান্ড টিসু ব্যাংক’র সভাপতি মাহমুদ ফারাজদাগি, টিস্যু ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল-এর সিইও ডগলাস জে ফুরলং।
সিম্পোজিয়ামে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এটি