ঢাকা: ট্রাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের পরিবর্তে বাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করবে বিশ্বের সব দেশ। আগামী শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে এর ব্যবহার।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইপিআই প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক হাবিব আবদুল্লা সোহেল সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওপিভি ব্যবহারকারী সব দেশ সমন্বিতভাবে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ট্রাইভ্যালেন্ট ওপিভি ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে তার পরিবর্তে বাইভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা ব্যবহার শুরু করবে। বাইভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা আগের মতো একই নিয়মে শিশুদের মুখে দুই ফোঁটা খাওয়াতে হবে। বাইভ্যালেন্ট ওপিভি ভ্যাকসিনে টাইপ-১ ও টাইপ-৩ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টাইপ-১, টাইপ-২ ও টাইপ-৩ পোলিও ভাইরাসের এই তিনটি টাইপ থেকে পোলিও হতে পারে। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও পোলিও টাইপ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'গ্লোবাল সার্টিফিকেশন কমিশন' ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বিশ্ব থেকে টাইপ-২ পোলিও নির্মূল হয়েছে বলে ঘোষণা করে।
সোহেল জানান, সারা পৃথিবীতে যখন পোলিও রোগ নির্মূল হবে, তখন পোলিও টিকা খাওয়ানো বন্ধ করা হবে। তবে বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।
ইপিআই প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক হাবিব আবদুল্লা সোহেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১০টি রোগের জন্য ১১টি টিকা দেওয়া হয় শিশুদের। এতে বছরে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা খরচ হয়। ২০১৯ সাল থেকে ওরাল পোলিও আর ব্যবহার হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. তাইজুল ইসলাম এ বারীসহ অন্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
এফবি/আরআইএস/এএ