ঢাকা: প্যাকেটে, মোড়কে, কার্টনে বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যবহার না করায় তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রেতা কোম্পানিগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ (ইসি বাংলাদেশ) এবং উবিনিগ (প্রা.) লিমিটেড।
বুধবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’র (২০০৫ সালের ১১ নং আইন) ১০ ধারা এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১৫’র ৯ বিধিমালা অনুসারে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে ইসি বাংলাদেশ এবং উবিনিগের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক এ নোটিশ পাঠান।
তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রিতা কোম্পানিগুলো ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করার পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পাশে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষতি সম্পর্কিত সচিত্র সতর্কবাণী না দেওয়ার অভিযোগে সৃষ্ট ক্ষতির সমপরিমাণ খরচ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, আইনে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সম্পর্কে রঙিন ছবি ও লেখা সম্বলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাপাতে এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বা বাজারজাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলা থাকলেও, তা মানছে না তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রেতা কোম্পানিগুলো।
গত ১০ মার্চ ১ নম্বর রিট পিটিশনার এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ (ইসি বাংলাদেশ) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের সহযোগিতায় তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রেতা কোম্পানির সকল তামাকজাত দ্রব্যে ১৯ মার্চের মধ্যে সচিত্র সতর্কবাণী নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানিয়ে একটি নেটিশ পাঠানো হয়।
সচিত্র সতর্কবাণী বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর তামাক কোম্পানিগুলো এই বিধান কতটুক প্রতিপালন করছে তা মূল্যায়নের জন্য ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৮টি বিভাগীয় শহরে এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশসহ ৭টি তামাকবিরোধী সংগঠন একযোগে একটি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
গবেষণায় ১২০টি (প্রতি বিভাগে ১৫টি) দোকানে তিন ধরনের তামাক বিক্রেতার কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৪৮৫টি সিগারেট, বিড়ি, জর্দা এবং গুলের প্যাকেট পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে ৭৫ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে, মোড়কে, কার্টনে বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই।
নোটিশে আরো বলা হয়, গবেষণায় উঠে এসেছে নোটিশ গ্রহণকারীরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলো এবং এ সম্পর্কিত পর্যাপ্ত ধারণাও তাদের ছিলো। কিন্তু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এটি