ঢাকা: দেশে আর যত্রযত্র স্থায়ী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থাকছে না। নিবন্ধন বা লাইসেন্স নিয়েই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য পরিবেশনের জন্য স্থাপনা করতে হবে।
উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি অনুশীলন এবং পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে খাদ্যমান প্রবর্তনে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে ‘নিরাপদ খাদ্য (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) প্রবিধানমালা, ২০১৬’ এর খসড়া প্রস্তুত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখারের পক্ষে সম্প্রতি এই খসড়া মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়।
আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, মতামত পাওয়ার পর চূড়ান্ত করা হবে এই প্রবিধানমালা।
খসড়া প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন বা লাইসেন্স ছাড়া কোনো খাদ্য ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। নিবন্ধিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। খাদ্যস্থাপনা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে নিজ উদ্যোগে দিতে হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যক্তি খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, মোড়কীকরণ, বিপণন ও বিক্রির জন্য কোনো স্থাপনা ব্যবহার করতে পারবে না।
কোন শর্তে কোন ধরণের স্থাপনা করা যাবে তা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দেবে। দূষিত এলাকা থেকে রোগ-জীবাণু যেন খাদ্যস্থাপনা বা হোটেল-রেস্টুরেন্টে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।
খাদ্যস্থাপনা হতে হবে খোলামেলা স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিচ্ছন্ন। খাদ্যস্থাপনা এলাকাও হতে হবে আলো-বাতাস চলাচলের উপযুক্ত। নর্দমা সংযুক্ত হবে না কোনো খাদ্যস্থাপনা। সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। খাদ্যবর্জ্য অপসারণের জন্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জমা রাখতে হবে।
এছাড়া, খাদ্য প্রস্তুতের যন্ত্রপাতিও হতে হবে জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন। খাদ্য রাখতে হবে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায়।
খসড়া প্রবিধানমালায় ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী খাদ্যস্থাপনাও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
এসএমএ/