ফরিদপুর: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী টিটো ও সহযোগী অধ্যাপক (ডেন্টিস্ট) হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির এক আদেশক্রমে সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ১৬৬টি যন্ত্রপাতি ডিপিপির মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ক্রয়/সংগ্রহ করার পিপিএ, ২০০৬ ও পিপিআর, ২০০৮ লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এতে চরম আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে।
এরূপ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিএ ও পিপিআর সংশ্লিষ্ট বিধিসমূহ লঙ্ঘনের বিষয়সহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বিএসআর পার্ট-১ বিধি ৭৩ মোতাবেক উক্ত দুই চিকিৎসক অধ্যক্ষ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো ও সহযোগী অধ্যাপক ডেন্টিস্ট গণপতি বিশ্বাস শুভকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপ্রতি বিশ্বাস শুভ বাংলানিউজকে বলেন, ফমেকের যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত দরপত্র যখন আহ্বান করা হয়েছিলো, তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহের শেষ সময় হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলাম।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও (ফমেকের সাবেক প্রকল্প পরিচালক) ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বাংলানিউজকে বলেন, যখন দরপত্র আহ্বান করা হয়, তখন প্রকল্পটির পিডি ছিলাম আমি। তবে, দুর্নীতির বিষয়ে যে তদন্ত হয়েছে। সেখানে তদন্ত কমিটি আমার কোনো বক্তব্য নেয়নি।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) একটি আদেশের চিঠি পেয়েছি। এই কারণে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।
প্রায় সাড়ে চারশত কোটি টাকা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল। বাকি টাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
পিসি/