সাভার (ঢাকা নর্থ): সাভারে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মিতু আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই ক্লিনিকটি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে।
সাভারের থানা রোড এলাকার মুক্তির মোড়ের মুক্তি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে ভুল চিকিৎসার এ অভিযোগ ওঠে। মারা যাওয়া গৃহবধূ মিতু সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আসাদুল্লাহর স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বজনেরা বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে মিতু আক্তার প্রচণ্ড পেটে ব্যথায় ক্লিনিকটিতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এসময় ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মিতুর পিত্তথলীতে পাথর হয়েছে এবং অপারেশন করতে হবে বলে জানান। এরপর রাতেই ওই গৃহবধুর অপারেশন করেন ক্লিনিকের সার্জন ডা. কাজী সোহেল ইকবাল।
স্বজনেরা দাবি করেন, ভুল চিকিৎসার কারণে মিতু সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে মিতুর মরদেহ রেখেই কৌশলে ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যান ডা. কাজী সোহেল।
ঘটনা টের পেয়ে অপারেশন রুমে গিয়ে মিতুর মরদেহ দেখতে পেয়ে ক্লিনিকে ভাঙচুর করার চেষ্টা চালান স্বজনেরা। পরে সাভার মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ক্লিনিকের সব চিকিৎসক ও নার্সরা কৌশলে পালিয়ে গেলেও আবুল কালাম আজাদ নামে এক ওয়ার্ড বয়কে আটক করা হয়েছে।
সাকিব (১৩) ও আতিক (৯) নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে মিতুর।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মিতুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পরই ওই ক্লিনিকের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
এইচএ/